চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ব্রিটেনের নির্বাচনে টিউলিপ-রুশনারাসহ বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ১৪ প্রার্থী

ব্রিটেনে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ১৪ জন প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। এদের মধ্যে ৮ জন লেবার পার্টির পক্ষে, ১ জন লিবারেল ডেমোক্রেটস, একজন ফ্রেন্ডস পার্টি এবং চারজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশ নেবেন।

যুক্তরাজ্যের সর্বশেষ নির্বাচনটি হয় ২০১৫ সালের ৭ মে। সেই নির্বাচনে সংসদের ৬৫০টি আসনের মধ্যে ৩৩১টিতে জয় পেয়ে ক্ষমতাসীন হয় কনজারভেটিভ পার্টি।

২০১৫ সালের সেই নির্বাচনে ৫ জন ব্রিটিশ-বাংলাদেশি লেবার পার্টির পক্ষে ভোটযুদ্ধে নামলেও সফল হন ৩ জন রুশনারা আলী (বেথনাল গ্রীন অ্যান্ড বো), টিউলিপ সিদ্দিক (হ্যামস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন) এবং রুপা হক (ইলিং সেন্ট্রাল অ্যান্ড অ্যাক্টন)। এই তিনজন আগামীকালের নির্বাচনেও একই আসন থেকে লড়াই করছেন।

লেবার পার্টির হয়ে আরও রয়েছেন আনোয়ার বাবুল মিয়া (ওয়েলিং অ্যান্ড হ্যাটফিল্ড), মেরিনা আহমেদ (বেকেনহাম) , রউশন আরা (সাউথ থেনেট), ফয়সাল চৌধুরী এমবিই (স্কটল্যান্ডের এডিনবরা সাউথ ওয়েস্ট) এবং আব্দুল্লাহ রুমেল খান (পোর্টসমাউথ নর্থ)। এছাড়াও সাজু মিয়া (ওয়াইর ফরেস্ট) লিবারেল ডেমোক্রেটস এর প্রাথী, আফজাল চৌধুরী (ইস্টহ্যাম) ফ্রেন্ডস পার্টির হয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামছেন।

চারজন স্বতন্ত্র প্রার্থী আজমাল মাসরুর (বেথনালগ্রীন অ্যান্ড বো), অলিউর রহমান (পপলার এন্ড লাইম হাউজ), আবু নওশেদ (ইয়ার্ডলি, বার্মিংহাম) এবং মির্জা জিল্লুর (ইস্টহাম) রয়েছেন নির্বাচনী লড়াইয়ে।

আগাম নির্বাচনের বিরুদ্ধে বারবার বক্তব্য দিয়ে আসলেও ১৮ এপ্রিল আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়ার (ব্রেক্সিট) প্রস্তুতিতে বিরোধী দলগুলো ঝামেলা সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেন থেরেসা, তাই আগাম নির্বাচনের ওই ঘোষণা বলে তিনি জানান।

এবারের নির্বাচনে জঙ্গি হামলা একটি বড় ইস্যু। তিন মাসেরও কম সময়ে যুক্তরাজ্যে তিনটি সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। যার সর্বশেষটিতে লন্ডন ব্রিজে হামলায় নিহত হন ৭ জন এবং আহত হন ৪৮ জন। এর আগে ২২ মে ম্যানচেষ্টারে আত্মঘাতী হামলায় ২২ জন মারা যান। মার্চে লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার সেতুতে পথচারীদের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দিয়ে হামলার ঘটনায় ৫ জন নিহত হয়।