সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর ব্রিটেনকে আরো বড় পরিসরে গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেছেন ডেভিড ক্যামেরন।
একদিকে নতুন সরকার গঠনের কাজ করছেন, অন্যদিকে আরো একবার স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতা ঠেকানোর চ্যালেঞ্জ যে সামলাতে হবে সেটাও মনে রাখতে হচ্ছে তাকে।
তবে ক্যামেরনের নির্বাচনী ইশতেহারে অভিবাসী আইনের বড় সংস্কারের অঙ্গীকার চিন্তায় ফেলেছে প্রবাসীদের।
লন্ডনের ১০ ডাউনিং স্ট্রিট ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ঠিকানা। বৃহস্পতিবারের সাধারণ নির্বাচনের জয়ে নিশ্চিত হয়ে গেছে গত ৫ বছরের মতো আগামী ৫ বছরও এটিই ডেভিড ক্যামেরনের ঠিকানা। সেই বাসভবনের সামনে থেকেই জানালেন ক্যামেরন, গ্রেট ব্রিটেনকে আরো ‘গ্রেট’ বানানোর পরিকল্পনা।
ইংল্যান্ডে যখন লেবারদের বিরুদ্ধে কনজারভেটিভদের বাধভাঙা জয়উৎসব, তখন নীরব এক ভোটবিপ্লব ঘটে গেছে স্কটল্যান্ডে। কয়েক যুগের লেবার আধিপত্য হটিয়ে ক্ষমতায় এসেছে স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি, এসএনপি। ৫৯টি’র মধ্যে ৫৬টি আসনই দখলে নিয়ে ব্রিটিশ রাজনীতির নকশা পাল্টে দিয়েছে দলটি। অন্যদিকে গতবার ৪১টি আসন পেলেও এবার স্কটল্যান্ডে মাত্র ১টি আসন পেয়েছে লেবাররা। মাস কয়েক আগে নিজেদের স্বাধীনতা প্রশ্নে স্কটল্যান্ড আয়োজন করেছিলো গণভোট। লেবারদের নেতৃত্বে সেই আন্দোলন বাস্তবায়ন না হলেও, এসএনপি’র আশা এবার স্কটল্যান্ড স্বাধীন হবেই।
ক্যামেরনের জয় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্রিটিনে বসবাস করা অভিবাসীদের জন্য। নির্বাচনী ইশতেহারে স্টুডেন্ট ভিসা, অভিবাসন আইনে কড়াকড়ি আরোপের কথা বলেছিলো কনজারভেটিভরা। ঘোষণা দিয়েছিলো, মিথ্যা রাজনৈতিক আশ্রয় আর মামলার মাধ্যমে ছলছাতুরি করে ব্রিটেনে থেকে যাওয়ার পন্থাকে নস্যাৎ করার। অভিবাসীদের কারো কারো আশঙ্কা, দ্বিতীয় মেয়াদে এসব অঙ্গীকার পূরণে উদ্যোগী হবে ডেভিড ক্যামেরনের সরকার।