চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

টেরেসা মে’র পদত্যাগ চেয়ে অনলাইন পিটিশনে কয়েক লাখ সাক্ষর

নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের দল ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টির (ডিইউপি) সঙ্গে সমঝোতা না করতে কনজারভেটিভ পার্টির প্রতি আহ্বান জানিয়ে একটি অনলাইন পিটিশনে ৫ লক্ষাধিক মানুষ স্বাক্ষর করেছেন। এছাড়া সেই পিটিশনে প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে’র পদত্যাগ দাবি করে জেরেমি করবিনকে নেতৃত্বে আনার দাবি জানানো হয়।

বেশ কয়েকজন পিটিশনকারী দ্য টেলিগ্রাফকে জানিয়েছেন, ডিইউপি সম্পর্কে ব্রিটেনের অনেকেরই কোন ধারণা নেই। তাদের সম্পর্কে জানতে গুগলের সাহায্য নিতে হচ্ছে।

চেঞ্জ ডট ওআরজি’র পক্ষ থেকে এই অনলাইন পিটিশনে স্বাক্ষরের আয়োজন করা হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, “টেরেসা মে’র পদত্যাগ করা উচিত। ক্ষমতায় থেকে যাওয়ার এই মরিয়া প্রচেষ্টা বিরক্তিকর।”

এছাড়া শনিবার কয়েক শ’ মানুষ সেন্ট্রাল ডিইউপির সঙ্গে টেরেসা মে’র জোট গঠনের প্রচেষ্টার প্রতি ক্ষোভ জানাতে লন্ডনে সমবেত হয়। এসময় ডিউপি বিরোধী এবং জেরেমি করবিনের পক্ষে বার্তা লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করে তারা।

ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে বিক্ষোভ

‘স্ট্যান্ড আপ টু রেসিজম’ এবং ‘স্টপ দ্য ওয়ার কোয়ালিশন’ এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। সমবেতদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেয় তারা।

আয়োজকরা ‘বর্ণবাদী, নারীবিরোধী, সমকামীবিরোধী’ ডিইউপিকে বর্জনের ডাক দিয়ে ‘টোরিস আউট, রিফিউজিস ইন’, ‘টোরিস আউট, করবিন ইন’ স্লোগান দেয়।

পুলিশের বাধা

তবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের কাছে এই বিক্ষোভে বাধা দেয় ‍পুলিশ।

একজন নার্সারী কর্মি ডিইউপির সঙ্গে টেরেসার জোট গঠন প্রচেষ্টায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ডিইউপি সম্পর্কে প্রথমে আমার কোন ধারণা ছিলো না। তাদের সম্মন্ধে জানতে আমাকে গুগল করতে হয়েছে। এই দেশের অনেক মানুষেরও নিশ্চয়ই এভাবেই দলটি সম্পর্কে জানতে হয়েছে।

বৃহস্পতিবারের সাধারণ নির্বাচনে ১৩ টি আসন কম পেয়ে হাউজ অব কমন্সে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় কনজারভেটিভ পার্টি। প্রয়োজনীয় আসন (৩২৬) সংখ্যার চেয়ে ৮টি কম পাওয়া কনজারভেটিভ পার্টি ডিইউপির সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করতে চায়।