প্রথমবারের মত দেশের বাইরের কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলতে গেছেন। একেবারেই নতুন অভিজ্ঞতা হতে যাচ্ছে। যাতে থাকছে রোমাঞ্চ, চ্যালেঞ্জ, আর নিজেকে আরেকধাপ উপরে তুলে নেওয়ার চেষ্টা। মেহেদী হাসান মিরাজ সেজন্য প্রস্তুতও হচ্ছেন ভালোভাবেই। অনুশীলনের একটি ছবি দিয়ে তার দল ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সও সেটাই বলছে।
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) খেলতে মিরাজ এখন সেন্ট লুসিয়ায়। সেখানে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের ডেরায় ঘাম ঝরাচ্ছেন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে। শাহরুখ খানের দলটি নিজেদের ফেসবুক পেজে ক্রিকেটারদের অনুশীলনের ছবি প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে টাইগার অলরাউন্ডারকে বল করতে।
ছবির সঙ্গে ত্রিনবাগো লিখেছে, তরুণ মেহেদী হাসান মিরাজ সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য এবং সিপিএল-২০১৭তে জ্বলে ওঠার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন।
অফস্পিন-অলরাউন্ডার মিরাজ যখন বল ছুঁড়ছিলেন, তখন ব্যাটিং প্রান্তে কে ছিলেন সেটি অবশ্য ছবিতে আসেনি। তবে অন্য ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে দিনেশ রামদিন, ডোয়াইন ব্রাভো, সুনীল নারিন অনুশীলন করছেন ত্রিনবাগোর জার্সিতে। বোঝাই যাচ্ছে, তারকা সব ক্রিকেটারের সঙ্গে ড্রেসিংরুম-অনুশীলন মুহূর্ত শেয়ার করছেন টাইগার তরুণ।
অবশ্য কেবল ক্যারিবীয় তারকারাই নন, মিরাজ ত্রিনবাগোয় সতীর্থ হিসেবে পাবেন বিশ্বের আরও বড় বড় ক্রিকেট তারকাকে। নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালাম, সাউথ আফ্রিকার ব্যাটিং ভরসা হাশিম আমলারাও আছেন মিরাজের দলে।
প্রথম অভিযানে অবশ্য মিরাজের কাছে অলরাউন্ডার ভূমিকার চেয়ে স্পিনার ভূমিকাই বেশি প্রত্যাশা করছে ত্রিনবাগো। অস্ট্রেলিয়ান বাঁহাতি স্পিনার ব্র্যাড হগের জায়গায় ডাক পড়েছে ১৯ বছরের টাইগার তরুণের। বুড়ো হগের ক্যাপে মাথা গলানো যেমন সুযোগের, দায়িত্বও তেমনি অনেক। মিরাজ সেটারই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
যাওয়ার আগে বলে গেছেন নামীদামী ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলে অভিজ্ঞতা অর্জন ও মানসিক শক্তি বাড়িয়ে নিতে চান, ‘ক্যারিবিয়ান এই লিগটা আমার জন্য বড় সুযোগ। এটা অনেক জাঁকজমকপূর্ণ হয়। বিশ্বের অনেক বড় বড় খেলোয়াড় ওখানে খেলে। তাদের বিপক্ষে আমি যখন খেলব, আমার মানসিক শক্তি অনেক বাড়বে। সত্যি কথা বলতে এটা অনেক সাহায্য করবে। এখানে ভাল করলে যেকোনো জায়গাতেই সুযোগ হতে পারে। চেষ্টা থাকবে এখানে ভালো কিছু করার।’
২০১৩ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়েছিলেন মিরাজ। ৭ ম্যাচ খেলে নিয়েছিলেন ১৩ উইকেট। সবগুলো ম্যাচই হয়েছিল গায়ানায়। এবার যদিও ভিন্ন ভেন্যুতে খেলা। তবে সেই সাফল্যটা আবারো টেনে নিতে চান। গত চার-পাঁচ বছরে তো আরও পরিণত হয়েছেন।
আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত মিরাজকে ছাড়পত্র দিয়েছে বিসিবি। এই সময়ের মধ্যে খেলার সুযোগ পাবেন পাঁচ ম্যাচে। ফিরে এসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের প্রস্তুতি নেবেন গত অক্টোবরে মিরপুর টেস্টে ইংল্যান্ড-বধের এই নায়ক।
সিপিএলে খেলছেন মিরাজের জাতীয় দল সতীর্থ সাকিব আল হাসানও। সাকিব এখনো ঢাকাতেই। আগামী ৪ আগস্ট মিরাজের দল ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স ও সেন্ট লুসিয়া স্টারসের ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে সিপিএলের এবারের আসর। বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টসের বিপক্ষে সাকিবের দল জ্যামাইকার প্রথম ম্যাচ ৫ আগস্ট।