কয়েক দশকের মধ্য সম্প্রতি সবচেয়ে বড় বিক্ষোভের পর খাদ্য, ওষুধ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর উপর থেকে সাময়িকভাবে আমদানি শুল্ক তুলে নিয়েছে কিউবার কমিউনিস্ট সরকার।
আগামী সোমবার থেকে এই বছরের শেষ সময় পর্যন্ত এসব পণ্য আনতে ভ্রমণকারীদের জন্য কোনো সীমা নির্ধারিত থাকবে না।
অর্থনীতির পতন, খাদ্য ও ওষুধের ঘাটতি, মূল্যবৃদ্ধি এবং সরকারের কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ পদক্ষেপ দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে কিউবানরা। রোববার রাস্তায় নেমে আসে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী।
তাদের একমাত্র চাওয়া ছিল, যেসব জনগণ বাইরে থেকে কিউবায় আসছে তারা যেন কোনো ধরনের আমদানি শুল্ক ছাড়া কিছু জিনিস আনতে পারে।
তবে এ ধরণের শুল্ক পরিবর্তনের ফলে কী প্রভাব পড়বে তা স্পষ্ট নয়। চলমান করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে বর্তমানে খুব কম লোকই কিউবায় ভ্রমণ করছে।
শুল্ক প্রত্যাহারের ঘোষণার পরে সরকারের সমালোচক ও সাংবাদিক ইয়োআনি সানচেজ এক টুইটবার্তায় বলেন, আমরা টুকরো টুকরো কিছু চাই না, আমরা স্বাধীনতা চাই। শুধু কয়েকটি অতিরিক্ত স্যুটকেস আনার জন্য কিউবার রাস্তায় রক্ত পড়েনি।
প্রধানমন্ত্রী ম্যানুয়েল ম্যারেরো ক্রুজ বুধবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এই পরিবর্তনের ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, অনেক সফরকারী এমনটা চাইছিলে এবং তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি ছিল। ৩১ ডিসেম্বরের পরে সরকার আবার সবকিছু মূল্যায়ন করবে।
বর্তমানে সফরকারীরা ট্যাক্স ছাড়াই ১০ কেজি ওষুধ কিউবায় আনতে পারেন। তবে খাবার ও ব্যাক্তিগত হাইজিনের জিনিসপত্র আনতে নির্দিষ্ট পরিমাণ শুল্ক প্রদান করতে হয়।
রোববারের বিক্ষোভে কয়েক ডজন মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার একজনের মৃত্যুর খবরও নিশ্চিত হওয়া যায়।
দেশটিতে অননুমোদিত বিক্ষোভ অবৈধ এবং সরকারবিরোধী বিক্ষোভের ঘটনা খুব বিরল।
কিউবা এই অশান্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করে। তাদের বক্তব্য, ১৯৬২ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটিতে অর্থনৈতিক দমবন্ধ অবস্থা তৈরি হয়েছে।
বুধবার কিউবায় বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া ইন্টারনেট আবার সংযোগ দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে এএফপি।
তবে কিছু ম্যাসেজিং ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন ফেসবুক, টুইটার ও হোয়াটসঅ্যাপ থ্রিজি ও ফোরজি নেটওয়ার্ক থেকে ব্লক করা হয়েছে।
হাভানাজুড়ে নিরাপত্তাকর্মীরা এখনও নিয়োজিত রয়েছে।