ব্যাংকক নেয়া হচ্ছে আমজাদ হোসেনকে, সঙ্গে যাচ্ছে তার দুই ছেলে
আমজাদ হোসেনকে নিয়ে যেতে রাতেই ব্যাংকক থেকে আসছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, সঙ্গে যাচ্ছেন দুই পুত্র
দেশের দাপুটে নির্মাতা, গীতিকার ও সাহিত্যিক আমজাদ হোসেনকে মঙ্গলবার রাতেই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ব্যাংকক নিয়ে যাওয়া হতে পারে বলে চ্যানেল আই অনলাইনকে জানিয়েছেন সোহেল আরমান। আমজাদ হোসেনের সঙ্গে ব্যাংকক যেতে এরইমধ্যে সমস্ত প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছেন বলে জানান তিনি।
আমজাদ হোসেনকে মঙ্গলবার রাতেই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ব্যাংকক নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়ে আমজাদ হোসেনের ছোট ছেলে সোহেল আরমান চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, বাংলাদেশ সময় রাত দশটায় ব্যাংকক থেকে ছেড়ে আসা এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকায় অবতরণ করবে। এই অ্যাম্বুলেন্সে করে ব্যাংকক থেকে একজন স্পেশালাইজড চিকিৎসক আসছেন। তিনি আব্বুর কন্ডিশন দেখতে ঠিক রাত ১২টায় ইমপালসে আসবেন। এসে উনি পরীক্ষা করে যদি দেখেন এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে নেয়ার মতো সুযোগ আছে তাহলে রাত দুইটায় আমরা ঢাকা থেকে ব্যাংককের উদ্দেশ্যে রওনা দিবো। আব্বুকে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত পুরোটাই নির্ভর করছে ব্যাংককের সেই চিকিৎসকের উপর।
আমজাদ হোসেনের সঙ্গে আর কে কে যাচ্ছেন?-এমন প্রশ্নে সোহেল আরমান বলেন, আব্বুর সঙ্গে যেতে আমি আর আর আমার বড় ভাই সাজ্জাদ হোসেন দোদুলকেই গ্রান্ড করা হয়েছে। দুজনই পাসপোর্ট জমা দিয়েছিলাম। ফলে এখন আর অন্য কারো আব্বুর সাথে যাওয়ার সুযোগ নেই।
ব্যাংকক থেকে ব্যয়বহুল এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসককে সেখান থেকে নিয়ে আসার বিষয়টি তুলে ধরে সোহেল আরমান বলেন, আব্বুর জন্য দেশবাসীর যে প্রেম তার জন্য আমাদের গর্ব হয়। আব্বুকে যে এতো মানুষ ভালোবাসেন সেটা তিনি অসুস্থ না হলে আমরা অনুধাবন করতে পারতাম না। যে ভালোবাসা দেশের মানুষ আব্বুর জন্য দেখিয়েছেন তার জন্য সবার কাছে চিরকৃতজ্ঞ। আর আব্বুকে নিয়ে যাওয়ার আগে এটুকু বলতে চাই, দেশবাসী ছাড়াও আরেকজনের কাছে আমরা চিরকৃতজ্ঞ হয়ে গেলাম। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমজাদ হোসেনের পরিবারের পক্ষ থেকে তার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।
১৮ নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিল আমজাদ হোসেন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে রাজধানীর ইমপালস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুরু থেকেই তিনি লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। ভর্তির তিন দিনের মাথায় আমজাদ হোসেনের চিকিৎসার সব দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার চিকিৎসার খরচ বাবদ ২০ লাখ টাকা, এবং বিদেশ নিয়ে যেতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া বাবদ ২২ লাখ টাকা প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।