বনানীর এস মুন্সী ওভারসিজ এজেন্সির মালিক সিদ্দিক মুন্সী হত্যায় প্রবাসী এক বন্ধুর কাছ থেকে হত্যার ঠিকাদারি নেয় হেলাল।
গুলশানের কালাচাঁদপুর থেকে রাত সাড়ে ১১ টায় মো. হেলাল উদ্দিন (৩৮) কে গ্রেফতার করে পুলিশ। এসময় একজন পালয়ে যায়। কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর বিভাগ তাকে গ্রেফতার করে।
বুধবার বেলা ১২ টায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে কাউন্টার টেরোরিজম প্রধান মনিরুল ইসলাম এক প্রেস ব্রিফিং- এ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, হেলাল ছিলেন এ ঘটনার অস্ত্র সরবরাহকারী। হত্যাকাণ্ডের অপারেশনাল কমান্ডার বা অন্যতম পরিকল্পনাকারী এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র সরবরাহকারী। সে পুলিশের কাছে জিজ্ঞাসাবাদে শিকার করেছে ঘটনাস্থলে সে নিজে উপস্থিত ছিলো। বাড্ডায় আলোচিত ফোর মার্ডারের পরিকল্পনাকারী এই হেলাল।
ইউরোপের একটি দেশে পলাতক জনৈক সন্ত্রাসী হেলালের ঘনিষ্ট বন্ধু মূলত তার নির্দেশনায় হেলাল তার সহযোগীদের নিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
সিদ্দিক মুন্সী হত্যাকাণ্ডের অপারেশনাল কমাণ্ডার বা মূল পরিকল্পনাকারী হেলাল ছিলেন জানিয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন: এ হত্যাকাণ্ডে হেলালসহ তার সহযোগী ৬ জন হত্যাকাণ্ডের নেতৃত্ব দিয়েছে।হেলাল ও তার ১ সহযোগী ঘটনাস্থলের বাইরে থেকে নির্দেশনা দেয়। অপর চারজন হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
৬ হত্যাকারির ২ জনকে পুলিশ ইতোমধ্যেই সনাক্ত করেছে তাদের নাম পিচ্চি আলামিন ও হেলাল।যারা এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে তারা সবাই ঢাকা মহানগরের পেশাদার খুনি। ভাড়াটে খুনের ঠিকাদারি করাই তাদের কাজ।
মনিরুল ইসলাম বলেন, হেলাল ছাত্রদলের মধ্যম পর্যায়ের নেতা ছিলেন। তার নামে গুলশান থানায় অরো কয়েকটি অস্ত্র ও হত্যা মামলা রয়েছে। ইউরোপের যে বন্ধুটি হেলালকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলো সেও ছাত্রদলের নেতা এবং ২০১৩-১৪ সালে যে জ্বালাও পোড়াও হয় সে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলো। এরপরই ইউরোপে পালিয়ে যায় সে। সঙ্গত কারণে পুলিশ তার নাম প্রকাশ করেনি। হত্যাকাণ্ডের ৭ দিন আগে হেলালকে প্রবাসী বন্ধু কন্টাক্ট দেয় তাকে।
হত্যাকাণ্ডের ব্যবহৃত ৬টি অাগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে ৫ টি অস্ত্র ও ৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডের সময় ২৫ থেকে ২৬ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে খুনিরা। পেশাদার খুনি হিসেবেই হত্যাকাণ্ডটি ঘটায় তারা। চাঁদাবাজি বা অর্থ লেনদেনের কারণে এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে কেনো এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখবে তারা।
রাজধানীর বনানীর বি ব্লকের চার নম্বর রোডের একটি বাসায় মুন্সী ওভারসিজ নামের একটি রিক্রুটিং এজেন্সি চালাতেন সিদ্দিক হোসেন মুন্সী।
গত ১৪ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে চারজন দুর্বৃত্ত এসে সিদ্দিক হোসেন মুন্সীকে নিজ অফিসে গুলি করে হত্যা করে।
ওই সময় আহত হয় অফিসের তিনজন সহকারী মির্জা পারভেজ, মোখলেসুর রহমান ও মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
ঘটনার পর ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় বনানী থানায় অজ্ঞাতনামা চারজনকে আসামি করে হত্যা মামলাটি করেন নিহতের স্ত্রী জোৎস্না বেগম।