আফগানিস্তান সিরিজের জন্য টি-টুয়েন্টি দল ঘোষণার আগেই তাসকিন আহমেদ জানতেন তার জায়গা হচ্ছে না। মেরুদণ্ডে চোট থাকায় বাদ পড়েও মন খারাপ হয়নি। মেরুদণ্ডে ব্যথা বাড়ায় কাতর এ পেসার জানালেন, বিছানা থেকে উঠে বসতেই কষ্ট হচ্ছে তার।
মঙ্গলবার নিজের ফেসবুক পোস্টে তাসকিন লেখেন- ‘এমন ব্যাক পেইন যে বেড থেকেও নামতে পারতেছি না।’ বুধবার তাসকিনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল- তার মেরুদণ্ডের লোয়ার ডিক্সে জেল শুকিয়ে গেছে। অস্ত্রোপচার না লাগলেও শিগগিরই ইনজেকশন পুশ করতে হবে।
তাসকিনের বর্তমান অবস্থা নিয়ে বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানালেন, ‘তাসকিনের মেরুদণ্ডের লোয়ার ডিক্সে আমরা এমআরআই করিয়েছি। যা দেখলাম তাতে সার্জারির প্রয়োজন মনে হচ্ছে না। আবার ফিজিও থেরাপিতেও ভালো হচ্ছে না। যে কারণে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি কাল একটা ইনজেকশন পুশ করবো। আশা করি তাতে হয়ত অবস্থার উন্নতি হতে পারে।’
শ্রীলঙ্কায় নিধাস ট্রফি খেলার সময় মেরুদণ্ডের নিচের অংশে চোট পান তাসকিন। দেশে ফিরে প্রিমিয়ার লিগ শেষ করে চিকিৎসার আওতায় আসেন। চলে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া। গেল সপ্তাহ থেকে বোলিংও শুরু করেছিলেন। ফর্ম ও ইনজুরির কথা ভেবে তাকে আফগান সিরিজের দলে রাখেননি নির্বাচকরা।
সামনের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর নিয়ে বেশ রোমাঞ্চিত ছিলেন তাসকিন। এখন সেটিও কিছুটা শঙ্কায়। ইনজেকশন দেয়ার পর সুস্থ হতে এক সপ্তাহ, এক মাস, এমনকি তারচেয়ে বেশি সময়ও লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন বিসিবির ফিজিও।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের আগেই ইজুরিতে পড়েছিলেন তাসিকন। এ তরুণ ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই লড়ছেন নানা রকমের ইনজুরি সঙ্গে। শুরুতে হাঁটুর ইনজুরি তাকে ভীষণ ভুগিয়েছে। পরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২০১৪ সালে ভারতের বিপক্ষে নিজের অভিষেক ম্যাচ স্মরণীয় করেন দারুণ বোলিং করে। গত বছর টেস্ট খেলার স্বপ্নও পূরণ হয়। তিন সংস্করণেই বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা তাসকিনের সামনে বারবার বাধা হয়ে আসছে ইনজুরি।