অ্যাশেজ সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে বিধ্বস্ত হওয়ার পর ইংল্যান্ড দলের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর যে সহজ হবে না, তা অনুমান করা যাচ্ছিল। অ্যান্টিগায় সিরিজের প্রথম টেস্টে তা বোঝাও যায়। ৪৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ইংলিশরা। তবে জনি বেয়ারস্টো’র ব্যাটিং নৈপুণ্যের উপর ভর করে বিপদটা ভালোভাবেই সামলেছে সফরকারীরা।
প্রথম দিন শেষে তাদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৬৮ রান। শতক হাঁকানো বেয়ারস্টো ২১৬ বলে ১৭ চারে ১০৯ ও ক্রিস ওকস ৫১ বলে ৩ চারে ২৪ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন।
মঙ্গলবার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড।
তৃতীয় ওভারেই ৪ রান করা অ্যালেক্স হেলসের উইকেট হারায় অতিথিরা। তাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন কেমার রোচ। আরেক ওপেনার জ্যাক ক্রাউলি ৮ রানে জশুয়া ডা সিলভার গ্লাভসবন্দি হন।
ব্যাটিং অর্ডারের তিনে উঠে আসাটা ইংলিশ অধিনায়ক জো রুট ইনিংস বড় করতে পারেননি। ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিলেও ১৪ বলে ৩ চারে ১৩ রান করে রোচের বলে বোল্ড হন।
জেসন হোল্ডারের বলে দ্বিতীয় স্লিপে জারমেইন ব্ল্যাকউডের তালুবন্দি হয়ে ক্রিজ ছাড়েন ৩৮ বলে ৩ চারে ২০ রান করে ড্যান লরেন্স। তখন ৪৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে মহাবিপদে ইংল্যান্ড।
বেন স্টোকসকে নিয়ে বিপদ সামলানোর দায়িত্ব নেন বেয়ারস্টো। পঞ্চম উইকেটে এই দুই ব্যাটার ৬৭ রান যোগ করেন। জায়ডেন সেলেসের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৯৫ বলে ৪টি চারে ২৬ রান করেন স্টোকস। তার আউটে ইংল্যান্ডের স্কোর দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১১৫ রান।
ষষ্ঠ উইকেটে বেন ফোকসকে নিয়ে ৯৯ রানের জুটি গড়ে লড়াই চালিয়ে যান বেয়ারস্টো। দলকে খাদের কিনারা থেকে তুলতে রাখেন দারুণ ভূমিকা। ফোকস ৮৭ বলে ৮ চারে ৪২ রান করে ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে ড্রেসিং রুমে ফিরে যান।
ফোকস যখন আউট হন, তখনো দিনের খেলা শেষ হতে ২০ ওভারের বেশি বাকি ছিল। বাকি সময়টা কাটানো ইংল্যান্ডের জন প্রয়োজন ছিল। বেয়ারস্টোর সঙ্গে ক্রিস ওকস সেই কাজটি ভালোভাবেই করেছেন। সপ্তম উইকেটে গড়েছেন ৫৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি।
ক্যারিবীয়দের হয়ে দুটি করে উইকেট পান কেমার রোচ, জায়ডেন সেলেস ও জেসন হোল্ডার।