বিদেশি শক্তি বেলারুশ সীমান্তে সেনা পাঠানোর আয়োজন করছে- দেশটির প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার লুকাশেঙ্কোর এমন অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবি করেছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন (ন্যাটো)।
সামরিক পোশাক পরা অবস্থায় জনসম্মুখে এসে প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো জানান, তিনি তার সশস্ত্র বাহিনীকে ‘সর্বোচ্চ সতর্ক’ করে দিয়েছেন।
দুই সপ্তাহ আগে বিতর্কিত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সময় শনিবারও রাজধানী মিনস্কের রাস্তায় বিক্ষোভ অব্যাহত ছিল। বিক্ষোভকারীরা লুকাশেঙ্কোর পদত্যাগের দাবি তোলেন।
গত ২৬ বছর ধরে বেলারুশ শাসন করা এই নেতা দাবি করেন, ন্যাটো ব্লক বেলারুশকে বিভক্ত করে মিনস্কে নতুন প্রেসিডেন্টের হাতে তুলে দেয়ার চেষ্টা করছে।
‘‘পোল্যান্ড এবং লিথুয়ানিয়ায় সেনারা প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ কারণে বেলারুশের সশস্ত্র বাহিনীকে দেশের পশ্চিম সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তারা আমাদের দেশের পরিস্থিতি টলিয়ে দিচ্ছে, সরকারকে পরাজিত করার চেষ্টা করছে।’’
তিনি জানান, শীর্ষ সেনাকর্মকর্তাদের দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ন্যাটো এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, বেলারুশ বা অন্য কোনও দেশের জন্য কোনও হুমকি নয় তারা। এই অঞ্চলে কোনও সামরিক অবস্থানও নেই। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি কঠোরভাবে রক্ষণাত্মক।
লিথুয়ানিয়ার রাষ্ট্রপতি গীতানাস নওসেদা এএফপিকে জানান, সরকার কল্পিত ও বাহ্যিক হুমকি সম্পর্কে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বক্তব্য দিয়ে যে কোনও মূল্যে বেলারুশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা থেকে মনোযোগ সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
পোল্যান্ডের এক কর্মকর্তা বলেন, বেলারুশিয়ানরা সীমান্ত পরিস্থিতির কথা বলে ‘প্রোপাগান্ডা’র পরিকল্পনা করছে। যা ‘দুঃখজনক ও অবাক বিষয়’। এতে পোল্যান্ডের কোন উদ্দেশ্য নেই।
তবে ন্যাটো বেলারুশকে তার নাগরিকদের মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি সম্মান দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে।
গত ৯ আগস্ট বেলারুশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবারও ক্ষমতাসীন হন ১৯৯৪ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা আলেক্সান্দার লুকাশেঙ্কো।
কিন্তু নির্বাচনে ব্যাপক ভোট কারচুপি অভিযোগ নিয়ে সারাদেশে বিতর্ক তৈরি হয়। তাতে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠে পুরো বেলারুশ।