বেনাপোল বন্দরের হ্যান্ডলিং শ্রমিকদের কাজ দখলে নিতে বহিরাগত দুর্বৃত্তদের বোমা হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন পথচারীসহ বন্দরের ২০ শ্রমিক। এ ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। ফলে বন্দরে দু’দেশের মধ্যে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যসহ পন্য খালাস প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে।
সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আজ সোমবার সকালে কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই একদল দুর্বৃত্ত বন্দরের হ্যান্ডলিং কার্যক্রম দখলে নিতে শ্রমিক সংগঠনের অফিসের সামনে একের পর এক বোমা হামলা শুরু করে। দুপুর পর্যন্ত প্রায় শতাধিক বিস্ফোরণ ঘটনা ঘটে। বোমার আতঙ্কে বন্দরের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। কর্মরত শ্রমিকরা প্রাণ বাঁচাতে এদিক ওদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। শেষখবর পাওয়া পর্যন্ত বন্দরে সব ধরনের মালামাল লোড আনলোডসহ পণ্য খালাস কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
গুরুতর আহত ইমরান হোসেনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বন্দর সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বন্দরে হ্যান্ডলিং শ্রমিকের ঠিকাদারি কাজ দখল নিতে দু‘টি দল মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। যার প্রেক্ষিতে এ ঘটনা ঘটেছে।
বেনাপোল বন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ঠিকাদার অহিদুজ্জামান অহিদ জানান, সকালে প্রতিদিনের ন্যায় শ্রমিকরা কাজে যোগদান করেন। কোন কিছু বোঝার আগেই পৌর কাউন্সিলর রাশেদ আলীর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী শ্রমিকদের উপর শতাধিক বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়, ফলে বন্দরে সব ধরনের কাজ কর্ম বন্ধ হয়ে যায়।
নাভারণ পুলিশের “ক” সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান জানান, বোমা হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়। তবে তদন্তে জানা গেছে রাশেদ কাউন্সিলরের নেতৃত্বে বন্দরে বোমা হামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।