চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বেনজেমার ১৭ মিনিটের হ্যাটট্রিকে পিএসজির বিদায়

কাইলিয়ান এমবাপের গোলে পিএসজি যখন লিড পেল, রিয়াল মাদ্রিদ তখন হয়ে পড়েছিল রীতিমতো কোণঠাসা। প্রথম লেগে ১-০ ব্যবধানে হারের পর দুই গোলে পিছিয়ে পড়া লস ব্লাঙ্কোসকে যেন খাদের কিনারা থেকে বাঁচিয়ে আনলেন করিম বেনজেমা। তার মাত্র ১৭ মিনিটের ঝড়ে ৩-১ গোলের জয় পেল রিয়াল।  

দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে কার্লো আনচেলত্তির দল। বেনজেমার হ্যাটট্রিকে মেসি-নেইমার-এমবাপেদের শেষ আটের আগেই আসর থেকে বিদায় নিতে হল।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

বুধবার সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে হওয়া ম্যাচে বল দখলে এগিয়ে ছিল পিএসজি। তবে শট নেয়ায় এগিয়ে ছিল রিয়াল। তারা ২১টি শট নেয়, যার মধ্যে সাতটি লক্ষ্যে ছিল। পিএসজি ১০টি শটের ভেতর চারটি লক্ষ্যে রাখতে পেরেছিল।

১৩ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো অতিথিরা। নেইমারের পাসে বল পেয়ে এমবাপের নেয়া বাঁ পায়ের শট ঠেকিয়ে দেন রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়া।

এরপর ২৫ মিনিটে রিয়ালের সামনে সুযোগ আসে। ডি-বক্সের বাইরে থেকে বেনজেমার দুরন্ত গতির শট চমৎকারভাবে প্রতিহত করেন জিয়ানলুইজি ডোন্নারুমা।

খেলার ৩১ মিনিটে বন্ধু নেইমারের পাসে বল পেয়ে গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন লিওনেল মেসি। তবে তার বাঁ পায়ের শট লক্ষ্যে না থাকায় ডেডলক ভাঙেনি।

তিন মিনিট পর পিএসজিকে আনন্দের উপলক্ষ এনে দিয়েছিলেন এমবাপে। তবে আক্রমণ তৈরির সময় নুনো মেন্ডেস ছিলেন অফসাইড পজিশনে। ভিএআরের সাহায্য নিয়ে রেফারি গোল বাতিল করেন।

৩৯ মিনিটে এসে অবশ্য এমবাপে ঠিকই গোলের দেখা পেয়ে দলকে লিড এনে দেন। নেইমারের দ্রুত বাড়ানো বল নিয়ে ছুটে গিয়ে ডি বক্সে প্রবেশ করে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে ডান পায়ের শটে তিনি কর্তোয়াকে পরাস্ত করেন।

বিরতির পর ৫৪ মিনিটে আবারো বল জালে জড়িয়েছিলেন এমবাপে। নেইমারের বাড়ানো বল নিয়ে কর্তোয়াকে কাটিয়ে করেছিলেন লক্ষ্যভেদ। তবে এমবাপে নিজেই অফসাইড পজিশনে থাকায় গোল বাতিল হয়।

৬১ মিনিটে নিজেদের ভুলেই গোল হজম করে পিএসজি। ডোন্নারুমার পায়ে ছিল বল। তার কাছে ছুটে গিয়ে চ্যালেঞ্জ জানান বেনজেমা। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে তা ভিনিসিয়াসের পায়ে তুলে দেন। তার পাসে বল পেয়ে গোল মুখে ফাঁকা জায়গা পেয়ে ডান পায়ের শটে অনায়াসেই নিশানাভেদ করে রিয়ালের আশা বাঁচিয়ে রাখেন বেনজেমা।

ম্যাচের ৭৬ মিনিটে লুকা মড্রিচের বাড়ানো বল নিয়ে ডি বক্সের ভেতর থাকা বেনজেমা নেন ডান পায়ে শট। ডোন্নারুমা হাত দিয়ে বল প্রতিহতের চেষ্টা করলেও তার শরীর বিপরীত দিকে থাকায় নাগাল পাননি। বল চলে যায় জালে আর জমে ওঠে তুমুল লড়াই।

সেই গোলের ধাক্কা সামলে নেয়ার আগেই দুই মিনিট পর আবারো বেনজেমার গোল। করে ফেলেন হ্যাটট্রিক। মার্কিনহোস বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে বেনজেমার পায়ে তুলে দেন। সেই সুযোগে ফ্রেঞ্চম্যান ডান পায়ে বল জালে জড়িয়ে রিয়ালের অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনের জন্ম দেন।

যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে নায়ক হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন মেসি। কিন্তু তার নেয়া সরাসরি ফ্রি কিক ক্রসবারের ওপর দিয়ে চলে গেলে শেষ ষোলোতেই থেমে যায় পিএসজির চ্যাম্পিয়ন্স লিগ যাত্রা।