বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার পথে আমরা রীতিমত একধাপ এগিয়েছি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, স্বৈরাচারী সরকারকে সরাতে হলে জনগণের ঐক্যের বিকল্প নেই। আসুন আমরা ন্যূনতম ঐক্যের ভিত্তিতে ন্যূনতম কর্মসূচির পথে এগিয়ে যাই।
শনিবার বিকেলে রাজধানীর গুলিস্তান মহানগর নাট্যমঞ্চ মিলনায়তনে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল ইসলাম বলেন, কারাগার থেকে (বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া) খবর পাঠিয়েছেন যেকোন মূল্যে এই সরকারকে হটিয়ে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। ফখরুল আরও বলেন, সারাদেশে লক্ষ লক্ষ মামলা দিয়ে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। ১ সেপ্টেম্বর থেকে ভৌতিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এই স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াই।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আজকে এই জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সূচনা হলো স্বৈরাচারী, ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে। আসুন, দলমত নির্বিশেষে যে যেখানে আছি ঐক্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে এগিয়ে গিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, আজকের দিনটি বাংলাদেশের জন্য নতুন মাইলফলক। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার পথে নতুন যাত্রা। জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আমরা আছি এবং থাকবো।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার আব্দুল মঈন খান বলেন, আসুন বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে সবাই মিলে স্বৈরাচারী সরকারকে অপসারণ করি।
জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহবায়ক ও সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। বক্তব্য দেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি আসম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, বাম জোটের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি প্রমুখ।
এখানে জামায়াত ছাড়া বিএনপির সমর্থিত ২০ দলীয় জোটের দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।