টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা, যমুনা এবং মেঘনায় পানি বেড়ে আগামী দুদিন পানি আরো বেড়ে উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা করছে পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। এবারের বন্যা দীর্ঘ স্থায়ী হবে বলে সতর্ক করে কৃষি-শিক্ষা-স্বাস্থ্য-যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিরূপ প্রভাব কাটাতে এখনই উদ্যোগ নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
সোমবার সকালে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র যমুনা নদীর বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে ৬ ঘণ্টায় পানি সমতল অতিক্রম করবে বলে সতর্ক করে বিশেষ বুলেটিন দেয়।
এর মাত্র এক ঘণ্টা পর দুপুর ১২টা নাগাদ ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে পানি রেকর্ড ২০ দশমিক সাত এক মিটার অতিক্রম করে। যা বিপদসীমার ১শ ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইতে থাকে। বিকেল ৪টা নাগাদ তা ১শ ২৮ সেন্টিমিটার দিয়ে বইছিলো। এটি রেকর্ডের চেয়ে ৭ সেন্টিমিটার বেশি।
এ বাস্তবতায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সংবাদ সম্মেলন করে উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি তুলে ধরেন। ৪৮ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্রের চিলমারি পয়েন্টে পানি প্রবাহ সবোর্চ্চ সীমা অতিক্রম করবে বলে সতর্ক করা হয় এই সংবাদ সম্মেলেনে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের তিনটি প্রধান নদী গঙ্গা-পদ্মা, যমুনা-ব্রহ্মপুত্র এবং মেঘনায় পানি বেড়ে ১০ দিন বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। বর্তমানে দেশের প্রধান তিনটিসহ প্রায় ২০টি নদীর সাতাশটি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার উপরে বইছে। এর মধ্যে ব্রহ্মপুত্রের নুন খাওয়া, চিলমারি, বাহাদুরাবাদ, সারিয়াকান্দি এবং সিরাজগঞ্জে বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ৭২ ঘণ্টায় তা গড়ে ৪০ থেকে ৪৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বাড়ার আশঙ্কা করছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।