চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

বুধবার থেকে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দাবি পূরণে প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের পর কর্মবিরতি কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নিতে মঙ্গলবার বিকালে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সাধারণ সভায় এমন সিদ্ধান্তে আসেন আন্দোলনে নামা শিক্ষকরা।

অবশ্য সাধারণ সভার আগেই কর্মবিরতি স্থগিত কিংবা প্রত্যাহারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তারা।

আন্দোলনরত শিক্ষকনেতারা লাগাতার কর্মবিরতির অষ্টম দিনে সোমবার বিকেলে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়ে শিক্ষকদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গত ১১ জানুয়ারি থেকে দেশের ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করে আসছেন। অষ্টম পে-স্কেলে শিক্ষকদের অবনমনের প্রতিকার ও মর্যাদা রক্ষার দাবিতে এ কর্মবিরতি পালন করে আসছেন তারা।

এর আগে গত ২ জানুয়ারি এ কর্মবিরতির ঘোষণা দেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অচল হয়ে পড়ে।

এরই মধ্যে সোমবার গণভবনে আমন্ত্রণ পান শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের নেতারা। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী চলমান সংকট নিরসনে শিক্ষকদের আশ্বস্ত করেন। সেই সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষকদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠকের প্রথমেই প্রধানমন্ত্রী ক্লাস বন্ধ থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এ সময় শিক্ষকনেতারা বাড়তি ক্লাস নিয়ে শিক্ষার্থীদের পুষিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন।

অষ্টম বেতনকাঠামোর চূড়ান্ত ঘোষণার পর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা তাদের মর্যাদা রক্ষা হয়নি অভিযোগ তুলে আন্দোলন শুরু করেন। বেতনকাঠামোর গেজেট প্রকাশের পর তারা জোর আন্দোলন শুরু করেন।

শিক্ষকরা টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিল করার বিরোধিতা করে আসছিলেন। পাশাপাশি জ্যেষ্ঠ সচিবদের সমান গ্রেডে উন্নীত না হওয়ার সুযোগ না থাকাকে মর্যাদাহানি হিসেবে উল্লেখ করেন তারা।

তখন শিক্ষকদের দাবি পর্যালোচনায় একটি কমিটি গঠন করে সরকার। কমিটির সভাপতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠকও করেন। বৈঠকে অর্থমন্ত্রী শিক্ষকদের তিনটি দাবি মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও ১০ দিন পর প্রকাশিত গেজেটে তার প্রতিফলন দেখা যায়নি বলেন অভিযোগ করেন শিক্ষকরা।