হয়তো ক্যারিশমাটিক ছিলেন না, ছিলেন না বিতর্কিতও। তাই পাননি ‘ব্যাডবয়’ খেতাব। ‘নিপাট ভদ্রলোক’ বলে একটু প্রচার-প্রসার কম পেয়েছিলেন। তাতে কী! বিদায়কালে উমর গুল যেভাবে সতীর্থদের ভালোবাসা পেলেন সেটাও তো পাননি অনেক কিংবদন্তি!
শুক্রবার রাতে সাউদার্ন পাঞ্জাবের কাছে হেরে পাকিস্তানের ঘরোয়া ন্যাশনাল টি-টুয়েন্টি লিগ থেকে বিদায় নেয় উমর গুলের দল বালুচিস্তান। দলও বিদায় নিলো, একইরাতে গুলও সিদ্ধান্ত নিলেন, নাহ আর ক্রিকেট নয়। সঙ্গে সঙ্গে বিদায় বলেন দিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৪২৭ উইকেটের মালিক।
২০ বছর ধরে ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন, ঘরোয়া-আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মিলিয়ে নিয়েছেন ৯৮৭ উইকেট। জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ৪৭ টেস্ট, ১৩০ ওয়ানডে ও ৬০ টি-টুয়েন্টি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে গুলের উল্লেখযোগ্য বছর ছিল ২০০৯ সাল। সে বছর পাকিস্তানের টি-টুয়েন্টি জয়ী দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন ডানহাতি এই পেসার। নিজের সেরা অস্ত্র ‘ইয়র্কার’ দিয়ে নাকানি-চুবানি খাইয়ে ছেড়েছেন ব্যাটসম্যানদের। গুলকে স্মরণ করতে আইসিসির ভাষ্য ‘সর্বকালের অন্যতম সেরা’ ইয়র্কারধারী বোলার।
এমন বোলারকে বীরের বিদায় দিতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেনি বালুচিস্তান ও সাউদার্ন পাঞ্জাবের ক্রিকেটাররা। দুই পাশে শ্রদ্ধায় ব্যাট উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে গেলেন ক্রিকেটাররা। চোখে পানি নিয়ে মাঠে প্রবেশ করলেন গুল।
পরে টুইটারে নিজের বিদায় নিয়ে গুল লিখেছেন, ‘পাকিস্তানের হয়ে সবসময় নিজের সেরাটা দিয়েছি এবং ১০০ শতাংশ কঠোর পরিশ্রম করেছি। ক্রিকেট সবসময় নিজের হৃদয়ে ভালোবাসা আর স্বপ্ন হয়ে থাকবে।’