গত বছরের ১২ ডিসেম্বর ছুটি কাটিয়ে আবারও জাহাজে কাজে যোগ দিয়েছিলেন ইউক্রেনে ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজে থাকা ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান আরিফ। হাদিসুরের বিয়ের কথা চলছিলো, পরের বারের ছুটিতে বাড়ি ফিরলে তার বিয়ের কাজটি সারতে চেয়েছিল পরিবার। তার আর ছুটি মিললো কই? যে অনন্ত ছুটি তিনি পেলেন, তার কথা দুঃস্বপ্নেও ভাবেনি তার পরিবারের কেউ।
চার ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবার বড় এবং পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী। তার মৃত্যুর পর গ্রামের বাড়ি বরগুনার বেতাগীর হোসনাবাদ গ্রামে শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছে সবাই।
নিহত হাদিসুর চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমির ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০১৩ সালে তিনি চাকরিতে যোগদান করেন। এমভি ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজটিতে পাঁচ বছর যাবত চাকরি করছিলেন। সবশেষ ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের পণ্যবাহী জাহার এমভি সমৃদ্ধিতে যোগ দেন।
বুধবার সকালে সবশেষ পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন নিহত ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর। সেময় পরিবারকে দোয়া করতে বলেছিলেন, যেন নিরাপদে বাড়িতে ফিরে আসতে পারেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি! ইউক্রেন সময় বুধবার ৫টা ১০ মিনিটে ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তিনি নিহত হন।
জানা যায়, ইউক্রেনে ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত বাংলাদেশী প্রকৌশলী হাদিসুর রহমান আরিফ হামলার সময় কেবিনের বাইরে মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন।
তার গ্রামের বাড়ি বরগুনার বেতাগীর হোসনাবাদ গ্রামে চলছে শোকের মাতম। স্বজনদের এখন একটি দাবি, যেভাবেই হোক হাদিসুরের মরদেহ যেন দেশে আনা হয়।