বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) সুপারিশ থাকার পরও নিয়োগ না পাওয়া ২৭ জনকে বিসিএস ক্যাডার হিসেবে ৬০ দিনের মধ্যে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
৩৪তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১ জন ও ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২৬ জনের বিষয়ে নিয়োগের এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পিএসসি’র সুপারিশের দিন থেকেই এদের নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ পৃথক তিনটি রিটের ওপর জারি করা রুলের শুনানি নিয়ে দেয়া রায়ে এই নির্দেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দিন দোলন, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া, অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার পালোয়ান, অ্যাডভোকেট মো. মনিরুল ইসলাম রাহুল ও অ্যাডভোকেট সোহরাওয়ার্দী সাদ্দাম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ওয়াইশ-আল-হারুনী।
৩৫ তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ যাদের নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তারা হলেন- রীনা খানম, মোহাম্মদ ফয়সাল আকবর, জান্নাতুন নেছা, এস.এম আশিকুর রহমান শিমুল, সাদিয়া আফরীন সুমাইয়া, মো. আবদুল্লাহ তারেক, মো. আবদুল্লাহ আল জোবাইর, মুসানাহ আশফাক, ফয়সাল আহমেদ চৌধুরী, খালেদ সাইফুল্লাহ, মো. আবু রোহানী পারভেজ রনি, মো. সাইদুল ইসলাম, মো. আবদুস সালাম, মো. আবু বকর, মুহসিনুল ইসলাম, রিয়াজ উদ্দিন, মো. ফরহাদ হোসেন, মুনমুন আহমেদ, মনিরুল হক, মো. আমিনুর রহমান, মো. রকিব উদ্দিন, মো. নাসরুল্লাহ হোসাইন, মীর ফয়সাল আলী, মো. মোজাম্মেল হাসান, মাহমুদা খাতুন ও মো. জাভেদ হাবিব।
আর ৩৪ তম বিসিএসে উত্তীর্ণ মো. রাকিবুল আলমকে নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২০১৬ সালের ১৭ আগস্ট ৩৫তম বিসিএসের ফল প্রকাশ করা হয়। এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২১৫৮ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য পিএসসি সুপারিশ করে। এরপর ২১১৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। বাকি ৪০ জনকে নিয়োগ দেয়নি। নিয়োগ বঞ্চিতদের মধ্যে বঞ্চিত ২৬ জন নিয়োগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন। এছাড়া ৩৪তম বিসিএসে উত্তীর্ণ একজন রিট করেন।