চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বিসিএলের ফাইনালে লড়বে ইস্ট-সাউথ

বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ইস্ট জোন ও সাউথ জোন। রাউন্ড লিগের ম্যাচ চার দিনের করে হলেও, শিরোপার ফয়সালা হবে পাঁচ দিনের লড়াইয়ে। ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ম্যাচটি ২২ ফেব্রুয়ারি মাঠে গড়াবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।

টুর্নামেন্টের দুই ফাইনালিস্ট চূড়ান্ত হয়েছে সোমবার। কক্সবাজারে তৃতীয় তথা শেষ রাউন্ডের লড়াইয়ে। নর্থের বিপক্ষে ৮ উইকেটের উড়ন্ত জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে শিরোপার মঞ্চে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টরা। আরেক ম্যাচে সেন্ট্রালের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর এক ড্রয়ে টেবিলের দুইয়ে থেকে ফাইনালের টিকেট কেটেছে সাউথরা।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

তিন রাউন্ডের লিগপর্ব শেষে ফাইনালে যাওয়া ইস্ট জোনের পয়েন্ট ২৩.৪৭, আর তাদের প্রতিপক্ষ সাউথ জোনের পয়েন্ট ১৯.৮৯। টেবিলের তিনে থাকা সেন্ট্রাল জোনের পয়েন্ট ১১.৫ এবং নর্থ জোন ৬.২২ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে।

ইস্ট-নর্থ
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের সিরিজে ডাক পাওয়া ইয়াসির আলির জোড়া সেঞ্চুরিতে নর্থের বিপক্ষে ৮ উইকেটের দারুণ এক জয় তুলে নিয়েছে ইস্টরা। টেস্ট দলে ডাক পাওয়া ইয়াসির অবশ্য ফাইনালে খেলতে পারছেন না। ২২ ফেব্রুয়ারিই মাঠে গড়াবে টেস্ট।

নর্থ প্রথম ইনিংসে করেছিল ২৭২, পরের ইনিংসে ২৬৯ রান। প্রথম ইনিংসে ৩৩১ করা ইস্টের সামনে শেষদিনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২১১ রান। সেজন্য ৩৬ ওভার হাতে পায় দলটি। ৩৪.৫ ওভারেই ছুঁয়ে ফেলে সীমানা, কেবল ২ উইকেট হারিয়ে।

জোড়া সেঞ্চুরিতে জাতীয় দলে ‘ফেরা’ উদযাপন করেছেন ইয়াসির। আগেও একবার ডাক পেয়েছিলেন, কিন্তু ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি টাইগার জার্সিতে। বছরখানেক পর আবারও যখন ডাক মিলল, বিসিএলের তৃতীয় রাউন্ডে দুই ইনিংসে ১৬৫ ও ১১০ রানে জাতীয় দল ম্যানেজমেন্টকে ভরসা যোগালেন ২৩ বছর বয়সী ডানহাতি ব্যাটসম্যান।

ইয়াসির আউট হয়েছেন ১১০ করে। তার আগে ৭৮ বলে সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন ৮ চার ও ৪ ছয়ে। পরে আরেকটি ছয়ে থেমেছেন ৮৮ বলের ইনিংস খেলে। আক্রমণাত্মক ইনিংসে দলকে জয় থেকে ২৩ রান দূরে রেখে ফিরেছেন।

উদ্বোধনীতে পিনাক ঘোষ (১২) রানে ফিরলেও মোহাম্মদ আশরাফুলকে নিয়ে ঝড়ো ১৭০ রানের জুটি গড়ে ম্যাচের লাগাম টেনে দেন ইয়াসির। তিনি ফেরার পর আশরাফুল বাকি কাজটুকু সেরে আসেন অপরাজিত ৭০ রানের ইনিংসে, ৪ চারে ৮৬ বলে সাজানো। ইমরুল কায়েস অপরাজিত থাকেন ১৬ বলে ১৭ করে।

সাউথ-সেন্ট্রাল
তৃতীয় রাউন্ডের দুই ম্যাচের মধ্যে কক্সবাজারের এই ম্যাচটি রোমাঞ্চ ছড়িয়েছে বাঁকে বাঁকে। শেষে ড্র, তাতে লাভ হয়েছে আব্দুর রাজ্জাকের দল সাউথের।

রাজ্জাকের একটি সিদ্ধান্তের কারণেই শুরু থেকে আলোচনায় ম্যাচটি। সেন্ট্রালকে প্রথম ইনিংসে ২৩৫ রানে অলআউট করে দেয়ার পর রাজ্জাক নিজেদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে দেন মাত্র ১১৪ রানে, সেটিও ৬ উইকেট হাতে রেখেই। প্রতিপক্ষের বোনাস পয়েন্ট ঠেকাতেই এই ফন্দি!

সেটি ফাঁস হতে বসেছিল সেন্ট্রালের নাজমুল হোসেন শান্তর অপরাজিত ২৫৩ রানের ইনিংসে। ৮ উইকেটে ৩৮৫ তুলে সেন্ট্রাল ইনিংস ঘোষণা করার পর জয়ের জন্য সাউথদের ৫০৭ রানের লক্ষ্যের পেছনে ছুটতে হয়। হাতে আবার দেড়দিনেরও বেশি।

জবাব দিতে নেমে তৃতীয় দিনে ৪ উইকেটে ১৫৯ তুলে শেষ করে সাউথরা। শাহরিয়ার নাফিস ৫ রানে ফিরলেও ফর্মে থাকা এনামুল হক বিজয় ৮৩ করে যান। ফজলে মাহমুদ ২৫ ও ইরফান শুক্কুর শূন্য রানে ফিরে বিপদ বাড়িয়ে রেখেছিলেন।

শেষদিনে তাই চাপে থেকেই নেমেছিল সাউথরা। শামসুর রহমান ৪৪ ও নাসুম আহমেদ ১ রানে ক্রিজে আসেন। যখন বিচ্ছিন্ন হলেন, ততক্ষণে ম্যাচ বাঁচানোর অনেক কাছে চলে গেছে দল।

শামসুর ১৩৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ এক ইনিংস দিয়ে যান মিরাজের বলে এলবিডব্রিউ হওয়ার আগে। নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা নাসুম খেলে যান ৮৫ রানের ইনিংস, বড় কথা ২৪৬টা বল খেলে দিয়ে যান।

দুজনের জমে যাওয়া ১৪১ রানের জুটিটা ভাঙতেই বিপদ চেপে ধরে সাউথদের। ঝটপট কয়েকটি উইকেট হারায় তারা। ফরহাদ রেজা ৯১ বলে অপরাজিত ২৭, আর শেষ ব্যাটসম্যান শফিউল ইসলাম ২৬ বলে ১ রানের সময়ব্যয়ী ইনিংস খেলে ম্যাচ ড্র করে ফেরেন।

চোট কাটিয়ে জাতীয় দলে ফেরা মিরাজের ৪ উইকেট, শুভাগত হোমের ৩ উইকেট সেন্ট্রালকে লড়াইয়ে রাখলেও কেবল আর একটি উইকেট তুলে নিতে না পারার আক্ষেপ নিয়ে ফিরেছেন তারা। সাউথরা ড্র আসার সময় ৯ উইকেটে ৩৮৬ রানে ছিল। শেষ উইকেট জুটি ফরহাদ ও শফিউল কঠিন সময়ে নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দেয় ৫৮ বল।