দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর পর আরিচা-কাজিরহাট রুটে আবার ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। শনিবার নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এ ফেরি সার্ভিস চলাচলের উদ্বোধন করেন।
বাসস জানায়, আরিচা-কাজিরহাট ফেরি রুটের দূরত্ব ১৪ কিলোমিটার। আরিচা থেকে কাজিরহাট যেতে সময় লাগবে এক ঘণ্টা ৩০মিনিট, কাজিরহাট থেকে আরিচা আসতে সময় লাগবে এক ঘণ্টা ১০মিনিট। একটি রো রো (বড়) ফেরি ও দু’টি মিডিয়াম ফেরি দিয়ে এ রুটের সার্ভিস শুরু হয়েছে।
এ রুটে বড় বাসের ভাড়া ২০৬০, ট্রাকের ভাড়া ১৪০০, মাইক্রোবাসের ভাড়া ১০০০, কারের (ছোট গাড়ি) ভাড়া ৬৮০, মোটরসাইকেলে ভাড়া ১০০ এবং যাত্রীর ভাড়া ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সমাবেশে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। তিনি নির্বাচনী ইশতেহারে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের ঘোষণা দিয়েছেন। নদীগুলোকে ড্রেজিং করে নাব্যতা ফিরিয়ে আনা হবে।
‘‘বঙ্গবন্ধু ছাড়া কোন নেতা নদী ড্রেজিংয়ের কথা ভাবেননি। নৌপথ খননে বঙ্গবন্ধু সাতটি ড্রেজার সংগ্রহ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের পর ৩২টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছেন এবং ৩৫টি ড্রেজার সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে।’’
সে সময়ে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত স্বীকৃতি লাভ করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে যাতায়াতকারী জনসাধারণের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে উপহারস্বরুপ এ ফেরি সার্ভিস চালু হলো।