জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার কাছের মানুষগুলো বিশ্বাসঘাতকতা করে হত্যা করেছে মন্তব্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, বিশ্বাসঘাতকরা সবসময়, সবকালে, সব প্রতিষ্ঠানেই সক্রিয়।
“আজও ঘাতক খন্দকার মোস্তাকদের অনুসারীরা আমাদের আশপাশে আছে। তারা কাছে থেকেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীদের চলাফেরা অস্থায়ী। তাদের দ্রুত পতন হয়।”
মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের শিগগিরই ফিরিয়ে এনে বিচার কার্যকর করা হবে। সেই প্রক্রিয়া চলছে।’
সেই সাথে যারা ষড়যন্ত্রকারী তাদেরও চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে যারা বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র করেছিলো তাদের উদঘাটনের জন্য উচ্চ পর্যায়ের কমিশন গঠন করার দাবি জানিয়ে বলেন, কেনেডি, গান্ধী হত্যাকাণ্ডের পর এ ধরণের কমিশন গঠিত হয়েছে। একইভাবে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্র উদঘাটনেও কমিশন গঠন জরুরি। কাদের ষড়যন্ত্রের কারণে আমরা জাতির পিতাকে হারিয়েছি তা বের করা দরকার।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, ‘হত্যাকারীরা মনে করেছিলো বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে তাকে দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করা যাবে। কিন্তু তা হয়নি। বঙ্গবন্ধু মৃত্যুঞ্জয়ী। তিনি আমাদের সাথেই আছেন। থাকবেন। যতোদিন বাংলাদেশ থাকে, বাঙালি জাতি থাকবে ততোদিন বঙ্গবন্ধু আমাদের সাথেই থাকবেন।’
‘তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের বিশ্বাস, সততার সঙ্গে চলতে শিখিয়েছেন। ভালো মানুৃষ হতে শিখিয়েছেন। তিনি একজন ভালো মানুষ ছিলেন। এজন্য বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা। কাজেই আমরা যে যাই হই না কেন আমাদের একজন ভালো মানুষ হতে হবে। একজন অনেক ভালো সাংবাদিক, ভালো আইনজীবী, ভালো কূটনৈতিক, ভালো শিক্ষক যদি ভালো মানু্ষ না হতে পারেন তবে তার কোন মূল্য নেই।’
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আক্তারুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যপক ড. মাকসুদ কামাল, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রহমত উল্লাহ।
টিএসসিতে আলোচনা সভা শুরুর পূর্বে সাংবাদিক সমিতির আয়োজনে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ওপর ছবি প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক সহ অতিথিগণ। এরপর বঙ্গবন্ধুর জীবন-সংগ্রামের ওপর ডকুমেন্টরি প্রদর্শন করা হয়।
আলোচনা সভা ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন, মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল সহ দিনব্যাপী শোক দিবসের নানা কর্মসূচি পালন করছে।