অবিশ্বাস্য রেকর্ডটা ১১ বছরের বেশি দখলে রাখতে পারল না বার্সেলোনা। এক মৌসুমে যতগুলো জেতা সম্ভব, ২০০৯ সালে সেসব শিরোপাই জিতেছিল পেপ গার্দিওলার ‘অন্যগ্রহের’ বার্সা। এখন থেকে আর কেবল বার্সাই নয়, নিতে হবে বায়ার্ন মিউনিখের নামও। ক্লাব বিশ্বকাপ জিতে মৌসুমে সম্ভাব্য ৬ শিরোপার বৃত্তই পূরণ করেছে হান্সি ফ্লিকের দল।
কাতারের দোহায় বৃহস্পতিবার মৌসুমের শেষ অর্থাৎ, ষষ্ঠ শিরোপার ফাইনাল খেলতে নেমেছিল বায়ার্ন। ২০২০ সালে দুর্দান্ত খেলা বাভারিয়ানদের আটকাতে পারেনি মেক্সিকান ক্লাব টাইগ্রেস। কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নদের ১-০ গোলে হারায় ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচের ৫৯ মিনিটে একমাত্র গোলটি করেছেন বায়ার্নের ফরাসি মিডফিল্ডার বেঞ্জামিন পাভার্ড। ১৮ মিনিটে জশুয়া কিমিচের গোলটি ভিএআরে বাতিল না হলে ব্যবধান দ্বিগুণই হতো ম্যানুয়েল ন্যুয়ারদের।
বৃহস্পতিবারের ম্যাচে বায়ার্ন পায়নি থমাস মুলার ও জেরোমে বোয়াটেংকে। মুলার করোনায় আক্রান্ত আর সাবেক প্রেমিকার মৃত্যুর খবরে মিউনিখে ফিরে গেছেন বোয়াটেং।
জিততে যদিও কষ্ট হয়নি বায়ার্নের। জয়ে দারুণ কীর্তি গড়া হয়ে গেছে দলটির কোচ হান্সি ফ্লিকের। প্রথমবার দায়িত্ব নিয়েই মোট ৬৮ ম্যাচে দলকে জিতিয়েছেন ৫৮টিতে। তার অধীনে জার্মান জায়ান্টরা হেরেছে পাঁচটিতে, ড্রয়ের সংখ্যাও একই। অর্থাৎ, হারের চেয়ে বায়ার্নের হয়ে শিরোপার সংখ্যাই বেশি ফ্লিকের!