বিশ্বশান্তি কামনায় সারাদেশে বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা পালিত হচ্ছে। বৈশাখের পূর্ণ চাঁদে বৌদ্ধধর্মের অনুসারিদের প্রধান এই উৎসব বৈশাখী পূর্ণিমা হিসেবেও পরিচিত। গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বোধিজ্ঞান ( বৌদ্ধত্বলাভ) ও মহাপরিনির্বাণ ( মৃত্যু) লাভ এই ত্রি-স্মৃতি বিজড়িত বৈশাখী পূর্ণিমাকে বৌদ্ধরা প্রধান ধর্মীয় উৎসব হিসেবে পালন করে।
দিনটি উপলক্ষ্যে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ এবং বিএনপি’র চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়।
বৌদ্ধ ধর্ম মতে, আজ থেকে দুই হাজার ৫৫৮ বছর আগে এই দিনে মহামতি গৌতম বুদ্ধ আবির্ভূত হয়েছিলেন। এই পূর্ণিমা তিথিতেই বোধিলাভ ও মহাপ্রয়াণ হয়েছিল তার।
বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের বিশ্বাস, বুদ্ধ বিশ্বের মানুষের দুঃখ-বেদনাকে নিজের দুঃখ বলে হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করেন। মানব জীবনের দুঃখ তার দৃষ্টিগোচর হলে তিনি সংসার জীবনের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েন এবং জন্ম, জরা, ব্যাধি ও মৃত্যু- এ চারটির কারণ উদঘাটন এবং মানুষের শান্তি ও মুক্তির লক্ষ্যে সাধনায় নিমগ্ন হন।
এক সময় রাজপ্রাসাদের বিত্ত-বৈভব, সুখ ও স্বজনের মায়া ত্যাগ করে সিদ্ধি লাভের পন্থা অন্বেষণে তিনি বেরিয়ে পড়েন অজানার পথে। দীর্ঘ সময় সাধনার পর গৌতম ‘বোধিপ্রাপ্ত’ হন।
বুদ্ধের জীবদ্দশায় কালজয়ী যেসব ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল, তার বেশির ভাগ ছিল পূর্ণিমাকেন্দ্রিক। একেক পূর্ণিমার সঙ্গে বুদ্ধের একেক স্মৃতি বিজড়িত আছে বলে জানান রামুর সীমা বৌদ্ধবিহারের সহকারি পরিচালক প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু। তিনি জানান, বৈশাখী পূর্ণিমা অন্য সব পূর্ণিমার চেয়ে বেশি ঘটনা, বেশি স্মৃতি ধারণ করে আছে। তাই বৈশাখী পূর্ণিমা বৌদ্ধ বিশ্বে সর্বাধিক গুরুত্ব পায়। কেননা রাজপুত্র সিদ্ধার্থের জন্ম, বৌদ্ধত্ব লাভ এবং বুদ্ধের মহাপরিনির্বাণ- এই তিনটি অনন্য ঘটনা ঘটে শুভ বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে। এ জন্য বৈশাখী পূর্ণিমার অপর নাম ‘বুদ্ধ পূর্ণিমা’।