কারাবন্দী বিএনপি নেতা নাসিরউদ্দিন পিন্টু মারা গেছেন। রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়।
রাজশাহীর জেল সুপার শফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, পিন্টু হার্টের রুগী ছিলেন। আজ ছুটির দিনে তিনি সকাল ১০টা ১১টার দিকে বুকে ব্যথার কথা বলেন। শুনে দ্রুত বাসা থেকে কারাগারে গিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে নিয়ে যাওয়ার কথা জানান জেল সুপার।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ড. রইস উদ্দিন বলেন, কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে যখন ১২টা ২০ মিনিটে নাসিরউদ্দিনকে হাসপাতালে আনা হয় তখন টেস্ট করে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। মনে হয়েছে আরো ২০ বা ৩০ মিনিট আগেই তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরো বলেন, গত ২৬ তারিখে ফলোআপের জন্য পিন্টু হাসপাতালে এসেছিলেন। তখন তার হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস ও হার্ট ডিজিজ ছিলো। সেসময় চিকিৎসাও দেওয়া হয়েছিলো। মূলত হার্টের কারণেই পিন্টুর মৃত্যু হয়েছে।
নাসিরউদ্দিন পিন্টুর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
২০০৯ সাল থেকে কারাবন্দী ছিলেন পিন্টু। পিলখানা হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে তিনি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাসিরউদ্দিন পিন্টু বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
বিভিন্ন সময় নানা ঘটনায় সাবেক এই সংসদ সদস্যকে কারাগারে থাকতে হয়েছিলো।
সর্বশেষ তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচনী আইন অনুযায়ী তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়।