লন্ডন থেকে: টাইগার ক্রিকেটের মহানায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার এটিই শেষ বিশ্বকাপ। তার অসাধারণ নেতৃত্বে প্রথম ম্যাচেই বাজিমাত করেছে বাংলাদেশ। রোববার ওভালে সাউথ আফ্রিকাকে ২১ রানে হারিয়ে শুরু করেছে অভিযান।
অথচ মাঠে থেকে টিম টাইগার্সের স্বপ্নিল শুরুর সাক্ষী হতে পারলেন না অধিনায়কের পরিবারের কেউ। স্ত্রী সুমনা হক সুমি, মেয়ে হুমায়রা মোর্ত্তজা, ছেলে সাহেল মোর্ত্তজা ও ছোট ভাই মোরসালিন বিন মোর্ত্তজা যখন লন্ডন পৌঁছালেন, তখন ম্যাচটাই যে প্রায় শেষ।
মাঠে কী হচ্ছে অজানাই ছিল। কেননা সাড়ে ১২ঘণ্টা ইন্টারনেট দুনিয়ার বাইরে ছিলেন সবাই। ছিলেন রোববার সকাল ১০টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের বিজি ০০১ ফ্লাইটে।
বাংলাদেশ যখন ওভালে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছে, আমরা চার সাংবাদিক তখন লন্ডনগামী ওই বিমানেই। আমাদের কিছুটা সামনেই ছিলেন মাশরাফীর পরিবার। সাহেলের দুষ্টুমি, হুমায়রার শাসন। হিথ্রো বিমাবন্দরে নেমেও চলতে লাগল সেসব।
ঢেকি স্বর্গে গেলেও ধান ভাঙে। সাংবাদিকতার কাজও শুরু হয়ে গেল সেখানেই। মাশরাফীর স্ত্রী’কে কথা বলার অনুরোধ করলাম। আন্তরিকতার সঙ্গে জানালেন, তিনি মাঠে বসে একদিন কথা বলবেন। এখন না।
‘পরে একদিন কথা বলব। আর কী বলার আছে বলুন, সবার যেমন প্রত্যাশা আমারও তেমন বাংলাদেশ দলকে ঘিরে, মাশরাফীকে ঘিরে একই প্রত্যাশা। এটি তার শেষ বিশ্বকাপ, স্ত্রী হিসেবে আলাদা অনুভূতি নেই। অন্যদের যেমন লাগছে আমারও তেমন লাগছে।’
গন্তব্যে পৌঁছাতে পৌঁছাতে বাংলাদেশের ম্যাচটা প্রায় শেষ হয়ে যাবে সেটি জানাই ছিল। ১১ঘণ্টার ভ্রমণ আরও দেড়ঘণ্টা দীর্ঘ হল সঠিক সময়ে বিমান উড্ডয়ন না করায়। ফ্লাইট বিলম্ব তো আছে, সেইসঙ্গে মেঘের কারণে হিথ্রো বিমানবন্দর খুঁজে পেতে লন্ডনের আকাশে বিমানটি তিন-চার বার ঘুরে অবতরণ করায় আরও ৩০ মিনিট দেরি।
ঘড়ির কাটা মেপে খেলার মধ্যবিরতিতে অবশ্য ৩৩ হাজার ফুট ওপরে বসেই ম্যাচের পূর্বানুমান করে আমরা চার সাংবাদিক ভিডিও বানিয়েছি। অনেকটা মিলেও গেছে তা।