বার্মিংহাম থেকে: মাশরাফী ভাই, আপনি না হয় সামনের লাইব্রেরিতেই একটু ঢুঁ মারেন, বই পড়েন, আমরা সেই ছবি তুলে নিউজ করি!
ভারতের বিপক্ষে ২ জুলাইয়ের ম্যাচের আগে ক্রিকেটারদের চার দিনের ছুটিতে নিউজ সংকটে ফেলেছে বাংলাদেশের ক্রীড়া সাংবাদিকদের। এজবাস্টন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে এর মাঝে আরও দুটি ম্যাচ থাকায় ছুটির সময়টায় রাখা যায়নি ঐচ্ছিক অনুশীলনও।
সংবাদ সংগ্রহের একমাত্র জায়গা তাই টিম হোটেল। কিন্তু ছুটি কাটাতে অধিকাংশ ক্রিকেটারই বার্মিংহাম ছেড়ে চলে গেছেন অন্য শহরে। টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে ক্রিকেটারদের নাকি বলা হয়েছে, বুধ ও বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি কাউকে না হতে।
বার্মিংহাম ইংল্যান্ডের একদম মাঝখানে। যে কারণে এটিকে মিডল্যান্ড বা মধ্যভূমি বলা হয়। এখান থেকে যেকোনো শহরে সহজে যাতায়াত করা যায়। সেই সুযোগে বন্ধু-আত্মীয়ের বাসায় ছুটে গেছেন অনেকে।
সকালে টিম হোটেলে সাংবাদিকদের জটলা বাড়ার আগেই কালো রঙের গাড়িতে চড়ে বেরিয়ে গেলেন সাব্বির রহমান। কিছুক্ষণ পর জানা গেল, দলের তেমন কেউ-ই নেই এই শহরে। সাংবাদিকদের মাথায় বাজ পড়ার আগেই হাজির হলেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। লাল রঙের ক্যাপ উল্টো করে ঘুরিয়ে মাথায় তুলে বেরিয়ে এলেন হোটেল থেকে।
বার্মিংহামে বাংলাদেশ দলের টিম হোটেল হায়াত রিজেনসির সামনেই সুউচ্চ একটি ভবন। দেখলে মনে হবে মিনি স্টেডিয়াম কিংবা শপিংমল। কিন্তু এটি যে লাইব্রেরি তা জানালেন মাশরাফী। মজার ছলে অধিনায়ককে সেখানে যেতে বলেছিলেন এক সাংবাদিক। যাতে একটা নিউজ অন্তত হয়!
হোটেলের সামনের খোলা জায়গায় বাতাস আর কনকনে ঠাণ্ডার মাঝেই সাংবাকিদকের সঙ্গে আড্ডা চালিয়ে যান মাশরাফী। বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে একটু পরপরই এসে যায় বিশ্বকাপ প্রসঙ্গ। এজবাস্টনে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ, সেমিফাইনালের লাইনআপ, নিজের ও অন্যদের ইনজুরি, আরও কত কি!
বাংলাদেশ সেমিফাইনাল খেলতে পারবে কিনা, সেটি নিশ্চিত হতে অপেক্ষা করতে হতে পারে ৫ জুলাই পর্যন্ত। সাত ম্যাচে সাত পয়েন্ট তুলে বাংলাদেশ একটা জিনিস অবশ্য প্রমাণ করে ফেলেছে, সেটি হল বিশ্বকাপ জমিয়ে তোলা। মাশরাফী আনন্দ নিয়েই বলছিলেন সেটি।
‘সেমিফাইনালে যেতে পারব কি-না পরের কথা, এই বিশ্বকাপ তো জমিয়ে তুলেছে বাংলাদেশ! না হলে টুর্নামেন্ট নিষ্প্রাণ মনে হতো। সবাই আগে থেকেই বুঝে যেত কোন চারটা দল উঠতে যাচ্ছে সেমিফাইনালে। আমাদের কারণেই তো এখনো কেউ বলতে পারছে না টুর্নামেন্টে শেষ চারের লাইনআপটা কেমন হবে।’
মাশরাফী মনে করেন বিশ্বকাপে সবচেয়ে হাইপ ওঠা ম্যাচ হয় বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে। সেই ম্যাচটা নিয়েই এখন যত ভাবনা।