চার বছর অপেক্ষার পর দুয়ারে হাজির বিশ্বকাপের আরেকটি আসর। কয়েকঘণ্টা পরই ব্যাট-বলের মহারণ শুরু হবে ১২তম বিশ্বযজ্ঞের। দেড়মাসেরও অধিক সময়জুড়ে চলবে রেকর্ড ভাঙ্গা-গড়ার খেলা। রেকর্ডের জন্মই ভাঙ্গার জন্য। গত ১১ আসর মিলিয়ে লেখা রেকর্ডের পাতায় নজর রাখা যাক-
>বিশ্বকাপে সর্বোচ্চবার চ্যাম্পিয়ন- অস্ট্রেলিয়া, ৫বার।
>সর্বোচ্চ ম্যাচ- রিকি পন্টিং (অস্ট্রেলিয়া), ৪৬টি।
>অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ ম্যাচ- রিকি পন্টিং, ২৯টি।
>আম্পায়ার হিসেবে সর্বোচ্চ ম্যাচ- ইংলিশ আম্পায়ার ডেভিড শেফার্ড, ৪৬টি।
>সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক- শচীন টেন্ডুলকার (ভারত), ২২৭৮ রান, ৪৫ ম্যাচ। দুইয়ে পন্টিং- ১৭৪৩ রান, ৪৬ ম্যাচ। তিনে কুমার সাঙ্গাকারা (শ্রীলঙ্কা)- ১৫৩২ রান, ৩৭ ম্যাচ। চারে ব্রায়ান লারা (উইন্ডিজ)-১২২৫ রান, ৩৪ ম্যাচ। পাঁচে এবি ডি ভিলিয়ার্স (সাউথ আফ্রিকা)-১২০৭ রান, ২৩ ম্যাচ।
>সর্বোচ্চ ইনিংস- মার্টিন গাপটিল (নিউজিল্যান্ড), অপরাজিত ২৩৭ রান, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ২০১৫ বিশ্বকাপে।
>সর্বোচ্চ গড়- ল্যান্স ক্লুজনার (সাউথ আফ্রিকা),গড় ১২৪.০০।
>সর্বোচ্চ স্ট্রাইকরেট- ল্যান্স ক্লুজনার, ১২১.১৭।
>সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি- শচীন টেন্ডুলকার, ৬টি সেঞ্চুরি। ৫টি করে আছে কুমার সাঙ্গাকারা ও রিকি পন্টিংয়ের।
>সর্বোচ্চ ফিফটি- শচীন টেন্ডুলকার, ১৫টি।
>সবচেয়ে বেশি শূন্য- লজ্জার এই রেকর্ড সমানভাগে ভাগ করেছেন নিউজিল্যান্ডের নাথান অ্যাস্টল ও পাকিস্তানের ইজাজ আহমেদ। দুজনেই বিশ্বকাপে রানের খাতা খুলতে পারেননি ৫বার করে!
>এক ইনিংসে সর্বোচ্চ স্ট্রাইকরেট- জেমস ফ্রাঙ্কলিন। ২০১১ বিশ্বকাপে কানাডার বিপক্ষে ৮ বলে ৩১ রানের ইনিংসের পথে নিউজিল্যান্ড অলরাউন্ডারের স্ট্রাইকরেট ছিল ৩৮৭.৫০!
>এক আসরে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক- শচীন টেন্ডুলকার, ২০০৩ বিশ্বকাপে ১১ ম্যাচে ৬৭৩ রান করেছিলেন ভারতীয় কিংবদন্তি।
>এক আসরে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক- গ্লেন ম্যাকগ্রা। ২০০৭ বিশ্বকাপে ১১ ম্যাচে ২৬ উইকেট ঝুলিতে ভরেছেন অজি গ্রেট।
>সর্বোচ্চ উইকেট- গ্লেন ম্যাকগ্রা, ৩৯ ম্যাচে অজি সাবেক পেসারের উইকেট সংখ্যা ৭১। এক ম্যাচ বেশি খেলে ৬৮ উইকেট নিয়ে দুইয়ে শ্রীলঙ্কান গ্রেট মুত্তিয়া মুরালিধরন। ৩৮ ম্যাচে ৫৫ উইকেট নিয়ে তিনে পাকিস্তানি কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরাম। আর ৩১ ম্যাচে ৪৯ উইকেট চারে থাকা লঙ্কান চামিন্ডা ভাসের।
>সেরা বোলিং পারফরম্যান্স- এক ম্যাচে ৭টি করে উইকেট নেয়ার কীর্তি আছে অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাকগ্রা, অ্যান্ডি বিকেল, নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইন্সটন ডেভিসের। তবে ২০০৩ বিশ্বকাপে নামবিয়ার বিপক্ষে মাত্র ১৫ রানে ম্যাকগ্রার ৭ উইকেট নেয়ার কীর্তিটি এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের সেরা ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স।
>বোলিংয়ে সেরা গড়- ১৮.১৯। প্রতিটি উইকেটের পেছনে এই রান খরচ করেছেন গ্লেন ম্যাকগ্রা।
>সেরা কিপ্টে বোলার- স্যার অ্যান্ডি রবার্টস। ১৬ ম্যাচের বিশ্বকাপ ক্যারিয়ারে ওভার প্রতি ৩.২৪ রানের বেশি খরচ করেননি ক্যারিবীয় পেসার।
>এক ইনিংসে সেরা কিপ্টে বোলিং- এক ম্যাচে অন্তত পাঁচ ওভার বোলিং করেছেন এমন বোলারদের মধ্যে সেরা কিপ্টে বোলিংয়ের স্ট্রাইকরেটটা ডারমট রিভির। ১৯৯২ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫ ওভারে মাত্র ২ রান খরচায় ৩ মেডেনে ১ উইকেট নিয়েছিলেন ইংলিশ অলরাউন্ডার। যদি হিসাব ১০ বা তারবেশি ওভারে ধরা হয়, সেরা কিপ্টে বোলিংটি বিষেন সিং বেদির। ১৯৭৫ বিশ্বকাপে ইস্ট আফ্রিকার বিপক্ষে ১২ ওভার বোলিং করে মাত্র ৬ রান খরচ করেছিলেন ভারতের সাবেক স্পিনার। সেই ইনিংসে বেদির মেডেন সংখ্যা ছিল ৮টি! উইকেট যদিও ছিল কম, মাত্র ১টি।
>সবচেয়ে খরুচে বোলার- জেসন হোল্ডার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বর্তমান অধিনায়ক সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০১৫ বিশ্বকাপে ১০ ওভারে রান দিয়েছেন ১০৪। ১২ ওভারের ক্রিকেট বিবেচনায় আনলে খরুচে বোলারের দুর্নামটা মার্টিন স্নেদ্দেনের। ১৯৮৩ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ড সাবেক ১২ ওভারে রান খরচ করেছেন ১০৫।
>সর্বোচ্চ ডিসমিসাল- ৩৭ ম্যাচে ৫৪ ডিসমিসাল নিয়ে সবার শীর্ষে লঙ্কান গ্রেট কুমার সাঙ্গাকারা।
>এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ডিসমিসাল- অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, ৬টি। ২০০৩ বিশ্বকাপে, নামিবিয়ার বিপক্ষে।
>এক আসরে সর্বোচ্চ ডিসমিসাল- অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, ২১টি। ২০০৩ বিশ্বকাপে ১০ ম্যাচে ২১ ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরত পাঠাতে সহযোগী হয়েছেন অজি উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান।
>সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপ- ৩৭২ রান। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০১৫ বিশ্বকাপে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে এই রান তুলেছিলেন ক্রিস গেইল ও মারলন স্যামুয়েলস।
>সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ- ৪১৭। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২০১৫ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ।
>সর্বনিন্ম দলীয় সংগ্রহ- ৩৬। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০০৩ বিশ্বকাপে কানাডার সংগ্রহ।
>এক ম্যাচে সর্বোচ্চ রান- ৬৮৮। ২০১৫ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া-শ্রীলঙ্কার ম্যাচে দুদল মিলে এই রান উঠেছিল।
>এক ম্যাচে সর্বনিন্ম রান- ৭৩। ২০০৩ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা-কানাডা ম্যাচের দুদলের মিলিত রান। ২৩.২ ওভারেই শেষ হয়ে যায় ম্যাচ।
>সর্বোচ্চ রানে জয়- ২৭৫ রান। আফগানিস্তানের বিপক্ষে এই রানে ২০১৫ বিশ্বকাপে জয় পায় অস্ট্রেলিয়া।
>সবচেয়ে কম রানে জয়- ১ রানে। ১৯৮৭ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার জয়। ১৯৯২ বিশ্বকাপেও ভারতের বিপক্ষে একই ব্যবধানে জয় পেয়েছিলো অজিরা।
>মি. এক্সট্রা থেকে সর্বোচ্চ- ৫৯, ১৯৯৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে অতিরিক্ত রানের বন্যা বইয়ে দিয়েছিল স্কটল্যান্ড।