ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ফাইনাল খেলে ওমানে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যোগ দেবেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ থেকেই টাইগার অলরাউন্ডার খেলবেন কিনা সেটির নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না কেউ! পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী অবশ্য স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ১৭ অক্টোবরের ম্যাচে খেলার কথা সাকিবের।
একের পর এক কঠিন ধাপ পেরিয়ে আইপিএলে সাকিবের দল কলকাতা নাইট রাইডার্স ফাইনালে ওঠায় বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচে তাকে পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন জেগেছে। দুবাইয়ে আইপিএল ফাইনাল ও ওমানে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে টাইগারদের ম্যাচের মাঝে কেবল একদিনের বিরতি পড়েছে।
কেকেআরের হয়ে টানা ম্যাচ খেলে চলেছেন সাকিব। সংযুক্ত আরব আমিরাত পর্বে শুরুর দিকে সুযোগ পাননি। টুর্নামেন্টের শেষদিকে এসে একাদশের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে উঠেছেন। মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে ১৫ অক্টোবরের ফাইনালেও টাইগার অলরাউন্ডারের খেলার সম্ভাবনা প্রবল।
টানা ম্যাচ খেলার ধকল কাটাতে বিশ্রামের প্রয়োজন হওয়া অস্বাভাবিক নয়। কেননা তিন ম্যাচ খেলে বাছাইপর্ব উতরাতে পারলে বাংলাদেশকে সুপার টুয়েলভে আবার পাঁচটি ম্যাচ খেলতে হবে। বিশ্রামের সুযোগ আর হয়ে উঠবে না সাকিবের।
দুবাই থেকে থেকে ওমানের দূরত্ব খুব বেশি না হলেও শুক্রবার রাতে আইপিএলের ফাইনাল শেষে শনিবার সকালে ওমান গিয়ে পরেরদিন ম্যাচে নামতে পারবেন কিনা সাকিব সেটি ঘিরেই যত শঙ্কা-জিজ্ঞাসা।
বিসিবির একজন পরিচালক যদিও জানালেন, ‘প্রথম থেকেই সাকিবের খেলার কথা। তবে টিম ম্যানেজমেন্ট এখন কী ভাবছে, সেটি আমি জানি না। আশা করছি সাকিব খেলবে। কেননা বাছাইপর্বের প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিপক্ষকে হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই।’
বুধবার জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল সাকিব প্রথম ম্যাচ থেকে খেলতে পারবেন কিনা? তিনি বলেছেন, ‘এটা পুরোপুরি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ দেখছে। এ মুহূর্তে এখানে বলা মুশকিল। আমরা অবশ্যই বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ থেকে তাকে(সাকিব) পাবো আশা করি।’
সাকিবের এ ব্যাপারে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ কোনো তথ্য জানাতে পারেনি। বৃহস্পতিবার পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।