মানবাধিকার সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠনের সমালোচনার মধ্যেই বিশেষ বিধান রেখে বাল্যবিবাহ নিরোধ বিল-২০১৭ জাতীয় সংসদে পাশ হয়েছে। এ বিল পাশের পাশাপাশি ব্রিটিশ আমলে প্রণীত চাইল্ড ম্যারেজ রেসট্রেইন্ট অ্যাক্ট ১৯২৯ রহিত করা হয়।
বিলটি পাশের জন্য মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ উত্থাপন করলে তা সর্বোচ্চ কণ্ঠভোটে পাশ হয়। এতে মেয়ে ও ছেলেদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ ও ২১ বছর রাখা হলেও ‘বিশেষ প্রেক্ষাপটে’ তারচেয়ে কম বয়সেও বিয়ে দেয়া যাবে।
পাশের আগে, এ বিষয়ে বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য, জনমত যাচাই সহ বেশ কয়েকটি বিষয় উপস্থাপন করেন তবে তা কণ্ঠভোটে বাতিল হয়ে যায়।
গত বছর ২৪ নভেম্বর মন্ত্রিসভা আলোচিত এ বিলটি’র অনুমোদন দেয়। এতে অপ্রাপ্তবয়স্ক নারীদের পাশাপাশি এবার অপ্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদেরও ‘বিশেষ প্রেক্ষাপটে’ বিয়ের বৈধতা এনে বাল্য বিবাহ নিরোধ বিল পাশ করা হয়।
এ নিয়ে দেশে-বিদেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইট ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)সহ বিভিন্ন দাতাসংস্থা ও বেসরকারী সংগঠনের পক্ষ থেকে এই বিশেষ বিধান বাতিলের দাবি জানানো হয়।