বাংলাদেশের খ্যাতিমান কলামিস্ট, গবেষক, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক ও লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ আর নেই।(ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটের সময় ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে নিশ্চিত করেছেন সৈয়দ আবুল মকসুদের পরিবার।
সৈয়দ আবুল মকসুদের ছেলে সৈয়দ নাসিফ মকসুদ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জানান: বিকালে বাবা হঠাৎ করে শ্বাসকষ্টে ভুগলে আমরা তখনই তাকে স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসি। একটু আগে তিনি মারা যান।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।
সৈয়দ আবুল মকসুদ জ্ঞানের বহুমুখী ধারায় বিচরণ করেছেন। বাংলাাদেশের রাজনীতি, সমাজ, সাহিত্য ও সংস্কৃতির পাশাপাশি বিখ্যাত সাহিত্যিক ও রাজনীতিবিদদের জীবন ও কর্ম নিয়ে গবেষণামূলক প্রবন্ধ লিখেছেন নিয়মিত। করেছেন কাব্য চর্চাও।
তিনি লিখেছেন চল্লিশের বেশি গ্রন্থ। ১৯৯৫ সালে বাংলা তিনি একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।
সৈয়দ আবুল মকসুদের জন্ম ১৯৪৬ সালের ২৩ অক্টোবর মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার এলাচিপুর গ্রামে। তার বাবা সৈয়দ আবুল মাহমুদ ও মা সালেহা বেগম।
তার কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৬৪ সালে সাপ্তাহিক নবযুগ পত্রিকায় সাংবাদিকতার মাধ্যমে। পরে সাপ্তাহিক জনতায় কাজ করেন কিছুদিন।পরে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ বার্তা সংস্থায় যোগ দেন। ২০০৮ সালের ২ মার্চ বার্তা সংস্থার সম্পাদকীয় বিভাগের চাকরি ছেড়ে দেন। প্রথম আলোর নিয়মিত কলামিস্ট তিনি। গুরুত্বপূর্ণ সব লেখার মাধ্যমে তিনি পাঠক সমাজে ব্যাপক সমাদৃত।
বিভিন্ন সময় দেশের সামাজিক অনিয়ম নিয়েও তিনি রাজপথে আন্দোলন করেছেন বহুবার। সমাজ পরিবর্তনে সব সময় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সৈয়দ আবুল মকসুদ।