হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আবারও খোলা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনভার্সিটির সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক আলী রিয়াজের সুটকেস। ছয়মাস আগেও একবার এমন ঘটনা শিকার হয়েছিলেন তিনি।
আলী রিয়াজ তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, বাংলাদেশ থেকে চব্বিশ ঘন্টার বেশি পথ পেরিয়ে বাড়ি ফেরার আনন্দের এক-তৃতীয়াংশ মাটি হলো সুটকেস খোলার পর; শিকাগো এয়ারপোর্টেই লাগেজের চেহারা বিশেষত তালার দিকে তাকিয়ে আশংকা হয়েছিল – সেটাই সত্য হলো বাড়ি ফিরে ৷ সুটকেসটা খোলা হয়েছে এবং তাড়াহুড়ো করে সব কাপড়গুলো ফেরত রাখতে গিয়ে জোর করে ঠেলে দেয়া হয়েছে – পরিণতি হচ্ছে স্যুটগুলো হয়েছে কাপড়ের দলা – কিন্তু শুধু তাই নয় সেখান থেকে উধাও হয়েছে একটা মূল্যবান জিনিস; অর্থমূল্যে তা বেশি নয় কিন্তু দরকারি জিনিস৷ এমন ঘটনা ঢাকা বিমানবন্দরে এই নিয়ে দুইবার ঘটলো গত ছয়মাসে৷’
তিনি আরও লিখেন, ‘আমার উদ্বেগটা চুরি করে নেয়ায় যতটা তারচেয়ে বেশি নিরাপত্তা নিয়ে-আপনার ব্যাগ থেকে চুরি সম্ভব হলে সেখানে অনাকাঙ্খিত এমনকি নিষিদ্ধ জিনিস ঢুকিয়ে দেয়াও সম্ভব৷ সেটা আবিষ্কৃত হবে ভিন্ন দেশে, বাকিটা কল্পনা করতে পারেন৷ যাত্রীর কি হবে সেটা বাংলাদেশের কর্তাব্যক্তিরা না ভাবতে পারেন, কিন্তু বিমানবন্দর হিসেবে ঢাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আগেও প্রশ্ন উঠেছিল, দ্বিতীয় বার উঠলে তার পরিণতি দেশের জন্যে ইতিবাচক হবে না৷’
রিয়াজ বলেন, ‘ঘটনা ঘটার পর এই নিয়ে আলোচনার ঝড় না তুলে এখনই পদক্ষেপ নিন৷ আমার কত ক্ষতি হলো সেটা খুব সামান্য বিষয়, বাংলাদেশের কত ক্ষতির আশংকা সেই ভেবেই এই কথাগুলো৷’