নিরাপত্তা অজুহাতে নিয়ে যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞার পর পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকাল থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ক্যাম্প অফিস করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে যেসব ব্যবস্থা দরকার তার সবই নেওয়া হয়েছে দাবি করে সংকট উত্তরণে আশার কথা শুনিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ থেকে আকাশ পথে সরাসরি পণ্য পরিবহনে যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞার পর নড়ে চড়ে বসেছে বিমান মন্ত্রণালয়। আগের ঘোষণামতো সকালেই হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। কার্গো ভিলেজ ঘুরে মন্ত্রী আসেন বিমানবন্দরে তাঁর ক্যাম্প অফিসে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সেখানেই কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে সরকারের সাম্প্রতিক তৎপরতা নিয়ে সাংবাদিকদের জানান মন্ত্রী।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, ইতিমধ্যে কার্গো এলাকায় যে যানগুলো ছিলো সেগুলোকে সরিয়ে একটা ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিমান পথে বাংলাদেশ থেকে সবজি ছাড়াও যুক্তরাজ্যে যাওয়া পণ্যের মধ্যে আছে তৈরি পোষাক। পণ্য পরিবহনে নিষেধাজ্ঞার মতো বিমানের লন্ডন ফ্লাইটও নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারে কিনা সে আশংকা নিয়ে প্রশ্ন ছিলো মন্ত্রীর কাছে।
মন্ত্রী আরো বলেন,এই বিমান বন্দরের দায়িত্বে যিনি আছেন প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু করে বিমানের যাত্রী নিয়ে আসা নিয়ে যাওয়া পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা করছেন।
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশের সম্মত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়ে অগ্রগতি জানতে রোববার বিমানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার।