সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) প্রধানমন্ত্রী এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন লশিদ আল মাখতুমের ষষ্ঠ স্ত্রী প্রিন্সেস হায়া বিনতে আল হুসেইন বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে দেশটি থেকে পালিয়ে গেছেন।
পালানোর সময় হায়া তাদের দুই সন্তান এবং ৩১ মিলিয়ন পাউন্ড সঙ্গে করে নিয়ে গেছেন বলে আরবভিত্তিক গণমাধ্যমগুলোর বরাতে এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, ইউএই এর ধনকুবের শেখ মোহাম্মদ বিন লশিদ আল মাখতুমের এই স্ত্রী বর্তমানে লন্ডনে আত্মগোপন করেছেন।
প্রিন্সেস এবং জর্দানের কিং আবদুল্লাহর সৎবোন হায়া সন্তান জলিলা এবং জাইদকে নিয়ে শুরুতে জার্মানিতে পালানোর পর তালাক চেয়েছেন। এমনকি জার্মানিতে তিনি রাজনৈতিক আশ্রয়ও চেয়েছেন।
অক্সফোর্ড থেকে পড়াশোনা করা প্রিন্সেস হায়াকে গত ২০ মে’র পর থেকে জনসমক্ষে দেখা যাচ্ছে না। তার দাতব্য কর্মকাণ্ডের ছবি ভর্তি ফেসবুক একাউন্টও গত ফেব্রুয়ারি থেকে নিষ্ক্রিয় রয়েছে।
আরবের গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, জার্মানির একজন কূটনীতিক প্রিন্সেস হায়াকে দুবাই থেকে পালাতে সহযোগিতা করেছেন। দুই দেশের মধ্যে কূটনীতিক সংকট তৈরি করতেই তিনি এ কাজ করছেন।
অভিযোগ রয়েছে, জার্মান কর্তৃপক্ষ প্রিন্সেস হায়াকে দুবাইয়ে ফেরত পাঠাতে ধনকুবের শেখ মোহাম্মদ বিন লশিদ আল মাখতুমের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে।
প্রিন্সেস হায়ার পালানো এবং তালাক চাওয়ার বিষয়টি দুবাইয়ের রাজ পরিবারের দুটি বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছে।
হায়ার পালানোর বিষয়টি জানা যায় মূলত শেখ মোহাম্মেদের কন্যা প্রিন্সেস লতিফার দুবাই থেকে পালানোর চেষ্টা প্রকাশ পাওয়ার পর। ভারতীয় উপকূল দিয়ে নৌকায় করে লতিফাকে পালাতে দেখা যায়। তখন থেকে তিনি পলাতক ছিলেন, তবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি দুবাইয়ে ফিরেছেন।
প্রিন্সেস লতিফা জানান, নির্যাতনের চাপে তিনি পালাতে বাধ্য হয়েছেন। মানাবধিকার সংস্থাগুলো বলছে, লতিফাকে দুবাইয়ে তাকে বন্দীদশা বরণ করতে হয়েছে।