স্বনামধন্য রূপ বিশেষজ্ঞ ফারজানা মুন্নী বর্তমানে জনপ্রিয় চ্যানেল গানবাংলা’র চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার স্বামী আরেক স্বনামধন্য সংগীত পরিচালক, ‘দাদা সাহেব ফালকে এক্সিলেন্সি অ্যাওয়ার্ড’ জয়ী গানবাংলা টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৌশিক হোসেন তাপস। দু’জনের নামের আদ্যাক্ষর (তাপস-এর ‘টি’ এবং মুন্নীর ‘এম’ ) নিয়ে তাদের নতুন উদ্যোগ ‘টিএম ফিল্মস’। দেশিয় চলচ্চিত্রে নতুন মাত্রা যোগ করতে প্রযোজনায় এসেছেন তারা। গেল ২১ সেপ্টেম্বর বিশ্ব ‘শান্তি দিবস’ উপলক্ষ্যে ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে জমকালো আয়োজনে ঘোষণা দেন যে, তারা চলচ্চিত্র প্রযোজনায় আসছেন। দেশের চলচ্চিত্রকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছে দিতে টিএম ফিল্মসের আগামীতে সিনেমা নির্মাণ নিয়ে পরিকল্পনার কথা জানাতে চ্যানেল আই অনলাইনের মুখোমুখি হয়েছেন ফারজানা মুন্নী…
চলচ্চিত্র প্রযোজনায় এলেন কেন? টার্গেট কি ব্যবসা নাকি ফেস্টিভাল?
আমার স্বামী তাপসকে সবাই চেনেন মিউজিসিয়ান, গায়ক হিসেবে। সে যখন এটিএন বাংলায় কাজ শুরু করে তখন ‘ও লেভেল’-এ পড়তো। তার বয়স তখন ১৫-১৬ বছর ছিল! তখন এটিএন বাংলায় ‘পপ ধামাকা’ নামে একটা অনুষ্ঠান হত। সেখানে আজম খান, জেমস থেকে শুরু করে দেশের বড় বড় তারকা গান করতেন। ওই আয়োজনের ভিডিওগুলো তাপসের বানানো। তখন থেকেই মেকিংয়ের প্রতি সে প্যাশনেট ছিল। শুধু মেকিং না, তাপস নিজে এডিটিং, গ্রাফিক্স, কালার গ্রেডিং, সাউন্ড ফিক্সিং সবকিছুই নিজের হাতে করে। এটা একটা বিরাট গুণ (ব্লেসিং)। ‘উইন্ড অব চেঞ্জ’-এ যতগুলো কনটেন্ট দর্শক দেখেন সবাই কাজ করার পর ‘লাস্ট ফিনিসিং’ তাপস করে।
ফিল্মে আসার কারণটাই হচ্ছে, ক্যামেরার পিছনে এবং ফিল্মের প্রতি তাপস অনেক প্যাশনেট। সেজন্যই ফিল্মে আসা। আর ফিল্মের আরেকটা মুগ্ধতা হচ্ছে, এই সেক্টরের বড় থেকে শুরু করে ছোট প্রত্যেক শিল্পীই আমাদের যেভাবে ওয়েলকাম করেছে এতে আশ্চর্য হয়েছি! দেখলাম, প্রত্যেকেই শতভাগ ডেডিকেটেড ফিল্মের জন্য। যারা ইন্ডাস্ট্রি ধরে রেখেছে তারা এখন ঠিকমতো সাপোর্ট পাচ্ছেন না। তাদের সাপোর্ট দিতে চাই আমরা। তারাই আমাদের আর্শিবাদ হিসেবে নিয়েছেন। ফিল্মে আসার এক হাজার পারসেন্ট উদ্দেশ্য হলো বিনোদন দেওয়া। আমরা মনে করি, বিনোদনের চেয়ে বড় ব্যবসা পৃথিবীতে নেই। বিনোদন দেয়াই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ব্যবসা।
আপনার স্বামী তাপসের আগ্রহের জায়গা মেকিং। আপনার আগ্রহ কিসে?
আমার কাজ ফ্যাশন ও স্টাইল নিয়ে। ১৭ বছরের মতো এটা নিয়ে কাজ করছি। এটাই আমার প্যাশন। তাপসের মেকিং এবং আমার ফ্যাশন, স্টাইল এবং সাজানো। দুজনের এই প্যাশনের কম্বিনেশন ফিল্মে আমরা একসঙ্গে করে গর্ব করার মতো কিছু সৃষ্টি করতে পারবো বলে বিশ্বাস রাখি।
সিনেমায় লগ্নি করবেন, এই ভাবনা এলো কবে থেকে?
তাপসের ফিল্ম নিয়ে চিন্তাধারা অনেক আগে থেকে। সে হুট করেই কোনোকিছু করতে পছন্দ করেনা। লম্বা সময় ধরে ভাবে, এরপর নিজেকে তৈরি করে, মানসিক প্রস্তুতি নেয়। এজন্য তাপসের প্রতিটি কাজ সেরা হয়। ফিল্মে আসার ব্যাপারে শাকিব খান অনেক সহযোগিতা করেছেন। আমরা যখন এসেছি আর থামবো না, ভালো ভালো সিনেমা বানাতেই থাকবো। এই ইন্ডাস্ট্রির মানুষ যেভাবে সাপোর্ট করছে যতদিন আমি তাপস বাঁচবো কাজ করে যাবো।
বললেন, ভালো সিনেমা বানাবেন! আপনার কাছে ভালো সিনেমা মানে কি ব্যবসাসফল সিনেমা নাকি পুরস্কারজয়ী সিনেমা?
পাঁচজন মানুষ যদি একত্রে বসে থাকে তাহলে পাঁচজন মানুষের পছন্দ পাঁচ রকম হয়। একেক জনের চিন্তা একেক রকম হয়। সিনেমা দেখে কারা এটা নিয়ে রিসার্চ (গবেষণা) করছি। ১৫-২০ বছয় বয়সী যারা ফিল্ম দেখে, তাদের নিয়ে রিসার্চ করেছি। এই জেনারেশনের দর্শক যারা তারা কী ধরণের সিনেমা দেখতে চায়! আবার ২০-৩০ বছরের বয়সের যারা তারা কী ধরণের সিনেমা দেখতে চায় এটা নিয়ে অলরেডি রিসার্চ শুরু করেছি। আমি একজন মানুষ। আমার সংসার, স্বামী, সন্তান, ব্যবসা, পরিবার আছে। এরমাঝে আমি যখন কোনো ফিল্ম দেখতে বসবো ওই সময়টুকু আমার চাওয়া থাকবে আমি হাসতে চাইবো, কাঁদতে চাইবো। আমি সুন্দর একটা স্বপ্নের জগতে যেতে চাইবো। মানে, যে সময়টুকু আমি ফিল্ম দেখতে বসবো ওই টুকু সময় আমি অন্য জগতে যেতে চাই। যে ফিল্ম আমাকে অন্য জগতে পৌঁছে দেবে, বিনোদনে দিয়ে আত্মতৃপ্তি দেবে ওই সময়ে সেটাই আমার কাছে ভালো সিনেমা। চারদিকে এতো অস্থিরতা বিরাজ করছে, এই অস্থির সময়ের মধ্যে যেটুকু সময় আমি ফিল্ম দেখে স্বস্তি খুঁজে পাবো, দুনিয়ার সবকিছু ভুলে যাবো, সেটা আমার কাছে ভালো সিনেমা।
‘উইন্ড অব চেঞ্জ’-এ বিদেশি মিউজিসিয়ানদের একত্রিক হতে দেখা যায়। ‘টিএম ফিল্মস’-এর চলচ্চিত্রে বিদেশি শিল্পীদের দেখা যাবে?
এখন আমরা শুধু বাংলাদেশের মধ্যে বসে নেই। গ্লোবালি সবাই কানেক্টটেড। অনেকসময় মনে হয়, ছোট হয়ে আসছে পৃথিবী! আমি মনে করি, আমরা যদি ভিন্ন ভিন্ন দেশের সঙ্গে সবাইকে নিয়ে কাজ না করি তাহলে আমাদের ফিল্ম যে এতো ভালো করবে এটা বাইরের দেশে ছড়াবে কীভাবে! টিএম ফিল্মস অবশ্যই বিভিন্ন দেশের সেলেব্রেটি নিয়ে কাজের চেষ্টা করবে। আমাদের তো স্বপ্ন অনেক। প্রথমে আমরা বলিউডের সঙ্গে কাজ করবো। জয়েন্টলি কাজের চেষ্টা থাকবে। সেখানে আমাদের খুব ভালো একটা সার্কেল রয়েছে। হলিউডের পরেই বলিউডের মার্কেট বিশ্বাব্যাপী। তাই ওদের সাপোর্ট দিয়ে কাজ করতে থাকবো।
‘উইন্ড অব চেঞ্জ’-এ পুরাতন গান নতুন করে তৈরি করা হয়। পাশ্ববর্তী দেশের ইন্ডাস্ট্রিতে দেখা যায় রিমেক কাজ করে। টিএম ফিল্মস পুরাতন ছবিকে রিমেক করবে নাকি মৌলিক গল্পে জোর দেবে?
ভালো প্রশ্ন। আমরা প্রথমে মৌলিক গল্পে গুরুত্ব দেব। নতুন কিছু উপহার দেয়ার প্রয়াস থাকবে। গানের ক্ষেত্রে পুরাতন গানগুলো ‘উইন্ড অব চেঞ্জ’ নতুন করে এই জেনারেশনের কাছে তুলে ধরেছে। যে গানগুলো এ প্রজন্ম ভালোভাবে জানতো না। গান বাংলা আসার আগে দেখতাম সবাই হিন্দি গান নিয়ে বসে থাকতো। গান বাংলা আসার পর লন্ডন, আমেরিকাতে কোথাও বেড়াতে গেলে সেখানে বসবাসরত বাবা-মা’রা এসে বলে তাদের বাচ্চারা ‘উইন্ড অব চেঞ্জ’ হওয়ার পর বাংলা গান শুনছে। এজন্য তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। গর্বে তখন বুকটা ভরে যায়। পুরাতন গানগুলো হারিয়ে যাচ্ছিল। গান বাংলাই সেগুলো পৃষ্ঠপোষকতা করে জাগিয়ে তুলেছে। অবাক করা বিষয় হলেও এটাই সত্য যে, উইন্ড অব চেঞ্জের বেশিরভাগ দর্শকই ইয়াং। তারাই বেশীরভাগ ‘উইন্ড অব চেঞ্জ’ দেখে। অবশ্য এগুলো করতে গিয়ে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে। কপিরাইট বা বিভিন্ন ইস্যু জড়িত ছিল। ফিল্মের ক্ষেত্রেও আমরা এটা নিয়ে কাজ করবো। আগের সিনেমার গল্পগুলো এতো সুন্দর ছিল সেটা বলে বোঝাতে পারবো না। সবার সহযোগিতা পেলে আমরা পুরাতন সিনেমা নিয়েও কাজ করবো। বলিউড, হলিউডেও তাই করছে। তারা পুরাতন ছবি রিমেক করছে।
চলচ্চিত্র প্রযোজনা করবেন এমন ঘোষণা দিয়েছেন ২১ সেপ্টেম্বর। হাতে-কলেমে কাজ শুরুর আগে কীভাবে প্রস্তুত হচ্ছেন?
ছবি শুরুর আগে কিছু অন্যরকম কাজ করতে চাচ্ছি। আমি এবং তাপস দুজনেরই পরিকল্পনা এটি। প্রতিদিনই এটা নিয়ে কাজ করছি। আমাদের দেশে ফিল্মে যারা কাজ করছেন এবং বর্তমানে করছেন তাদের নিয়ে স্টাডি করছি। কে কোন চরিত্রে ভালো করেছে, কার কোনটা ভালো মানায় এগুলো নিয়ে কাজ করছি। ফিল্ম হলো শোবিজ। কাজ শুরুর আগে কিছু বায়ো’স ক্রিয়েট করতে চাই। শুটিং শুরুর আগে সেগুলো প্রকাশ করবো। যাদের নিয়ে টিএম ফিল্মস কাজ করবে তাদের নিয়েই বানাবো। এটা তাদের প্রমো বা তাদের প্রোফাইল হতে পারে। এগুলো দেশ ও দেশের বাইরে কাজে লাগবে। নভেম্বর মাস থেকে এগুলোর কাজ শুরু করবো।
আপনি নিজেও দেশের একজন স্বনামধন্য সৌন্দর্যবিদ। গান এবং সিনেমার পর সৌন্দর্য নিয়ে কোনো কাজের ভাবনা আছে?
ফিল্মের মধ্যেই বিউটি নিয়ে কাজ করতে হবে। আমাদের দেশে এতো সুন্দর নায়ক-নায়িকা রয়েছে, তাদের স্টাইল, সাজানোর দায়িত্ব আমার। আমাদের দেশের বড়বড় ফ্যাশন ডিজাইনার রয়েছে তারাও আমাদের ফিল্মের সঙ্গে কাজ করবেন। বড় বড় মেকআপ আটিস্ট কাজ করবেন। আমার স্বামী তাপস ফিল্ম নিয়ে এতোবড় একটা দায়িত্ব আমাকে দিয়েছে এটা শেষ করে দেশের বিউটি ও স্টাইল নিয়ে কিছু করার সময় পাবো কিনা জানিনা। তবে আমার গত ১৭ বছরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চাই টিএম ফিল্মসের ছবিতে।
ঝটপট কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর চাই। টিএম ফিল্মস থেকে বছরে কয়টি ছবি হবে?
প্রাথমিকভাবে ঠিক করেছি বছরে চারটি ছবি হবে। যদি আমরা প্রথম বছরে সাফল্য পাই পরে চারটা থেকে ছয়টি ছবি করার ইচ্ছে আছে। তিন বছরের মধ্যে যদি সাফল্য চলে আসে, আমাদের ছবি যদি দর্শক গ্রহণ করে তখন আরও বেশি কাজ করতে পারবো। আমরা বিশ্বাস করি, কোয়ান্টিটি কোয়ালিটিকে নষ্ট করবে না। সেক্ষেত্রে বছরে ১২ টা ছবি করার সম্ভব হবে। এককথায় চার থেকে শুরু হয়ে ১২ পর্যন্ত যাবে।
প্রথম ছবির শুটিং শুরু কবে থেকে?
জানুয়ারি (২০২০) থেকে নির্মাণ কাজ শুরু হবে। ২০২০ সালে টিএম ফিল্মস-এর যাত্রা শুরু করবো। বর্তমানে আমরা ভাবনা শুরু করেছি। যাত্রা শুরুর আগে যে ভাবনা দরকার সেটা মিনিমান তিন মাস লাগে। সেটাই আমরা করছি।
চারটা ছবি ২০২০ সালে মুক্তি দেবেন?
চারটা ছবির কাজ ২০২০ সালেই শুরু হবে। হয়তো বছর শেষের মধ্যে রিলিজ দিতে পারবো। দেখা যাক কী হয়!
ওই ছবিগুলোতে কারা কাজ করবেন?
প্রথম দুটোর কাজ মনে মনে শুরু করে দিয়েছি। সেখানে ইন্ডাস্ট্রির কমবেশি সবাই থাকতে পারেন। যারা বড় বড় শিল্পী, এতদিন ইন্ডাস্ট্রি ধরে রেখেছেন, সাহস নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন তারাই কাজ করবেন। এক কথায় যারা সবকিছু ঠেলে এই মাধ্যম চাঙ্গা রেখেছেন তাদের নিয়েই প্রথমে বেশি ভাবছি। এই মুহুর্তে নাম জানানোর সময় আসেনি।
পাশের দেশে অমিতাভ বচ্চন, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এই বয়সে এসেও দাপিয়ে কাজ করছেন। তাদের ঘিরে ছবির গল্প নির্মিত হচ্ছে। আমাদের অনেক সিনিয়ির শিল্পী ইন্ডাস্ট্রি থেকে দূরে। তারা টিএম ফিল্মসে কাজের সুযোগ পাবেন?
পাশের দেশে যা হচ্ছে সেটা তৈরির চেষ্টা করবো। এসভিএফ, সুরিন্দর ফিল্মস, এসকে মুভিজ যেভাবে ছবি করছে সেই মানটা দেখানোর চেষ্টা করবো। যদি প্রমাণ করতে পারি তারপরে কিন্তু দর্শক আমাদের বিশ্বাস করবে। এটা দর্শকদের বিশ্বাস করাতে পারলে আমাদের দেশের সিনিয়র শিল্পীরাও অমিতাভ বচ্চন, সৌমিত্রর মতো হয়ে ধরা দেবেন।
ছবি তৈরির পর প্রদর্শন নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। টিএম ফিল্মস থেকে মানসম্মত প্রদর্শনের ব্যবস্থা বা আধুনিক সিনে থিয়েটারের নির্মাণের পরিকল্পনা আছে?
এই সময়ে বাংলাদেশের সরকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে শিল্পীদের জন্য এটা স্বর্ণযুগ। শিল্পীরা মন থেকে কিছু চাইলে, প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই দেবেন। একজন শিল্পী হিসেবে আমি এটা বিশ্বাস করি। আমি মনে করি, যেকোনো কারণে হয়তো বা পিন পয়েন্টে সমস্যাগুলো সনাক্ত করে সরকারের সঙ্গে যেভাবে ভাব বিনিময় করতে হয় সেটা হয়ে ওঠেনি। তবে ইতোমধ্যে আমরা জেনেছি ১৩ সিনেপ্লেক্স অলরেডি আইসিটি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে হচ্ছে। ধীরে ধীরে ২৮টি সিনেপ্লেক্স হচ্ছে। এটা বড় সুখবর। এভাবে ৬৪ জেলা শহরে ৬৪ সিনেপ্লেক্স হয়ে যাবে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায়। শিল্পীদের পাশাপাশি কথা বলার মানুষ হিসেবে যেখানে যেখানে বলতে হয়, এই দাবি তুলে ধরবো। শিল্পীদের এবং শিল্প চর্চার এতবড় সংকট ও সমস্যাটা আগামী নির্বাচনে যাওয়ার আগে সমাধান হয়ে যাবে বলে বিশ্বাস করি।
আন্তর্জাতিক মান রেখে কাজ করবে টিএম ফিল্মস। আমাদের দেশে টেকনিক্যালি সেই সাপোর্টের স্বল্পতা রয়েছে। তাদের টিএম ফিল্মসের ছবিগুলোর পোস্ট প্রডাকশনের কাজ হবে কোথায়?
‘উইন্ড অব চেঞ্জ’ একটা জ্বলন্ত উদাহরণ। অনেকেই জিজ্ঞেস করেন এটার শুটিং কোথায় হয়? কেউ মনে করে মুম্বাইতে, কেউ মনে করে লন্ডনে শুটিং হয়, আবার কেউ মনে করে জার্মানে শুটিং হয়। কিন্তু আমরা খুব প্রাউড যে এটার শুটিং হয় এফডিসিতে। এই এফডিসিতে যদি উইন্ড অব চেঞ্জের মতো আসর হতে পারে, তাহলে সেখানে আন্তর্জাতিকমানের কাজ হতে পারবে না কেন! এটা নিয়ে কোনো ডাউট নেই। উইন্ড অব চেঞ্জের প্রি ও পোস্ট প্রডাকশন বাংলাদেশ হয়। আন্তর্জাতিকমানের ৩১ দেশের ৬৪ জন শিল্পী এখানে কাজ করতে পারে এবং সেটা ১২৪ টা দেশ থেকে প্রশংসা পায়, প্রচারিত হয়। কিন্তু তারপরেও আমরা প্রথমে বাইরে কাজ করবো। প্রথমদিকে প্রি ও প্রডাকশন বাইরে থেকে হবে।
প্রথমে বলছেন শাকিব খান সিনেমায় আসতে অনেক সহযোগিতা করেছেন। তাকে নিয়ে আপনাদের পরিকল্পনা কী?
শাকিবকে নিয়ে আমাদের অনেক প্ল্যান। প্রথম ছবিটা শাকিব হান্ড্রেন্ট পারসেন্ট করছে। তার সঙ্গে সঙ্গে এখন সিনেমায় যারা কাজ করছে তারা প্রত্যেকেই আমাদের ছবিতে কাজ করবে। শাকিব অনেক কিছুই নির্দেশনা দিয়েছেন আমাদের। প্রচণ্ড ভালো কাজের ক্ষুধা দেখেছি তার মধ্যে। সে অনেকিছুই করতে চায়। কিন্তু বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়। শুধু নিজের জন্য নয়, ওইদিন একমঞ্চে যারা উঠেছিল তাদের মধ্যে কার কোন ছবি করলে ভালো হবে সেগুলো শাকিব আমাদের পরামর্শ দিয়েছেন। ক্যারিয়ারের এই অবস্থানে এসেও শাকিবের এমন ভাবনা আমাদের সামনে আগাতে অনুপ্রেরণা দিয়েছে। যে কোনো প্রয়োজনে সে আমাদের পাশে থাকবে বলেছে। এজন্য তার কাছে কৃতজ্ঞ।
ভিডিও: