নেত্রকোনা জেলার পলাশকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতি ১০ ভাগেরও কম। শিক্ষকরা স্কুল ছুটি দেন নির্দিষ্ট সময়ের আগেই। তারা বলেছেন, স্কুলটি আকর্ষণীয় করতে চেষ্টা করছেন তারা।
স্কুলটির অনিয়ম নিয়ে ২০১৪ সালে চ্যানেল আই সংবাদে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রচারিত হয়েছিল। ওই প্রতিবেদনটি প্রচারের পর স্কুলের ৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগী মামলা করে জেলা শিক্ষা অফিস। এরপর কয়েক মাস ভালোভাবেই চলছিল স্কুলটি।
তবে এখন আবারো ফিরে এসেছে আগের অবস্থায়। শিক্ষকরা সময় মতো স্কুলে আসলেও ফিরে যান তিনটার আগেই। আর শিক্ষার্থী উপস্থিতি বেশ হতাশাজনক।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পঞ্চম শ্রেণীর ১১ শিক্ষার্থীর মধ্যে ক্লাস করছে মাত্র ৫ জন। আর চতুর্থ শ্রেণীতে মোট শিক্ষার্থী ২০ জন হলেও ক্লাসে উপস্থিত পাওয়া যায় মাত্র ৬ শিক্ষার্থীকে। একই সময়ে তৃতীয় শ্রেণীর মোট ৩১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ক্লাসে ছিলো মাত্র ৪ জন।
স্থানীয় অভিভাবকরা বলছেন, এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষার অনেক উন্নতি হয়েছে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের এভাবে স্কুলে না আসা শিক্ষার জন্য মোটেও সুসংবাদ নয়। শিক্ষার উন্নয়নের জন্য এই অবস্থার পরিবর্তন দরকার বলে মনে করেন তারা।
শিক্ষকরা বলছেন, আশপাশের আরো বেশ কয়েকটি স্কুল হওয়ায় শিক্ষার্থী সঙ্কটে আছেন তারা। পলাশকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোশাররফ হোসেন বলেন, এলাকায় নতুন আরো ৫টি স্কুল হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী সেসব স্কুলে চলে গেছে।
সন্তানদের স্কুলে পাঠানো নিয়ে অভিভাবকরা যথেষ্ট সচেতন না হওয়ার কারণেও শিক্ষার্থী সঙ্কট হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন স্কুলের শিক্ষক সুলতানা আক্তার।
এই স্কুলের শিক্ষকদের অনিয়ম আর প্রতিদিন স্কুল খোলা রাখার দাবিতে গত বছরের শেষ দিকে বিক্ষোভও করেছিল এলাকাবাসী।