চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বিদেশফেরতরা অবস্থান না জানালে শাস্তি: পুলিশ সদরদপ্তর

বিদেশফেরতদের অনেকেই পাসপোর্টে দেয়া ঠিকানায় অবস্থান করছেন না উল্লেখ করে পুলিশ সদরদপ্তর জানিয়েছে, তারা যদি নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করে নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত না করেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে ।

মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সদরদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) সোহেল রানা বিষয়টি চ্যানেল আই অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘১ মার্চ থেকে দেশে আসা প্রবাসীদের মধ্যে যারা পাসপোর্টে দেয়া ঠিকানা ছাড়া অন্যত্র অবস্থান করছেন, তাদেরকে নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করে বর্তমান অবস্থান ও মোবাইল নম্বর জানাতে অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ সদরদপ্তর।’

‘‘অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮, বাংলাদেশ দণ্ডবিধি এবং প্রযোজ্য অন্যান্য আইনের উপযুক্ত ধারা মতে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এমনকি প্রয়োজনে তাদের পাসপোর্ট জব্দ করারও উদ্যোগ নেয়া হবে। ’’

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জানুয়ারি থেকে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ মানুষ দেশে এসেছেন। এরমধ্যে মার্চের প্রথম ২০ দিনে বিদেশ থেকে ফিরেছেন ২ লাখ ৯৩ হাজার মানুষ, যাদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যকই এসেছেন করোনা আক্রান্ত দেশগুলো থেকে। তাদের মধ্যে মাত্র ১৭ হাজার ৭৯০ বিদেশফেরত স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টিনে আছেন।

দেশে আসার সময় সঠিক ঠিকানা না দেওয়া এবং পাসপোর্টের ঠিকানায় অবস্থান না করায় ফিরে আসা সবাইকে খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ৩৩ জন, যাদের ৯ জনই শিবচরের। আর এই ৯ জনের মধ্যে ৬ জনের সংস্পর্শে ছিলেন অন্তত ৩৫০ ব্যক্তি। তাদের মধ্যে মাত্র ১০৭ জনকে চিহ্নিত করে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। বাকি ২৪৩ জনের কোনো হদিস নেই।

গতকাল সোমবার করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে আগামী ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার।

এছাড়াও একই সময় পর্যন্ত সারাদেশে গণপরিবহন বন্ধ (লকডাউন) রাখার কথাও জানানো হয়েছে।

এই সময়ে অতি প্রয়োজন ছাড়া সবাইকে বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। একইসঙ্গে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে আজ থেকেই মাঠে নেমেছে সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যরা।

নতুন করে গতকাল সোমবারও আরও ছয়জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৩ জনে। মারা গেছেন তিন’জন। সুস্থ হয়ে পাঁচজন বাড়ি ফিরেছেন।

প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ৪৬ জন। হোম কোয়ারেন্টাইনে ১৪ হাজার জন। আইসোলেশনে রয়েছেন ৫১ জন।

গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহানে প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনা ভাইরাস এখন বৈশ্বিক মহামারি। এতে এতে সারাবিশ্বে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৮২ হাজারেরও বেশি মানুষ। মারা গেছেন ১৬ হাজার ৫৬৯ জন। এছাড়াও চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন লক্ষাধিক মানুষ ।