দেশের বিচারব্যবস্থা পুরোপুরিভাবে আওয়ামী লীগের করায়ত্তে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে প্রতীকী অনশনে এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন: তারা একে একে দেশের সমস্ত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা বিচার বিভাগ, প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করেছে। মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা সেনাবাহিনীকে পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। এই ভাবে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে শুধু মাত্র রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে করায়ত্তে নিয়ে সফল হওয়া যাবে না।
তিনি বলেন: রাজনৈতিক প্রতিহিংসা কতোটা ভয়ংকর হতে পারে আপনারা দেখুন। নিম্ন আদালত বেগম খালেদা জিয়ার যে মামলায় ৫ বছর সাজা দিয়েছিলো, উচ্চ আদালতে এসে তা ১০ বছর করা হয়েছে। আজকে প্রমাণিত হয়েছে দেশে নেত্রী বেগম খারেদা জিয়ার মামলরা পরিচালনার ক্ষেত্রে এই বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন নয়।
বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন: বিচার ব্যবস্থা যে স্বাধীন নয় তা আরো প্রমাণিত হয়েছে যে গত কয়েকদিন আগে পাবনায় যে রায় দিয়েছে ১৯৯৪ সালের ঘটনাকে কেন্দ্র করে। সেখানে ৯ জনকে ফাঁসি, ২৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। অথচ সে ঘটনাটি সম্পূর্ণভাবে একটি সাজানো ঘটনা ছিলো। এর প্রমাণ আছে একজন লেখক বই লিখেছিলেন, আমার ফাঁসি চাই। সেই বইয়ে লেখক বলেছেন, আওয়ামী লীগই এই ঘটনা ঘটিয়েছিলো জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য।
বিএনপি নেতা বলেন: বিচার ব্যবস্থার দলীয়করণ ও রাজনীতিকরণের কারণে অস্বাভাবিক যন্ত্রণা ভোগ করছে দেশের মানুষ। গায়েবী মামলার সংখ্যা এক লক্ষ। মামলার আসামী সংখ্যা ২৬ লক্ষ।
মির্জা ফখরুল বলেন: খালেদা জিয়া আজকে একটি প্রতীকে পরিণত হয়েছে। সেই প্রতীক হচ্ছে গণতন্ত্রের। তার যদি মুক্তি হয় তাহলে গণতন্ত্রে মুক্তি পাচ্ছে বলে মনে করবো। সেই মুক্তির জন্য শুধু আইনি লড়াইয়ের জন্য অপেক্ষা করলে হবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের রাজনীতিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সেই আন্দোলনে সমস্ত মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
একটি কথা পরিস্কার করে বলতে চাই, সারা দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য আমরা কাজ করছি। জনগণের ঐক্য নিয়ে আমরা সামনের দিকে এগুবো এবং এই সরকারের পতন ঘটাব।