তীব্র বিক্ষোভের মুখে চীনের প্রস্তাবিত বন্দী প্রত্যর্পণ বিলটির দ্বিতীয় বিতর্ক অধিবেশন পিছিয়েছে হংকংয়ের আইন পরিষদ (লেগকো)।
বেইজিংপন্থি লেজিসলেটিভ কাউন্সিল, লেগকো প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বুধবার অনুষ্ঠিতব্য ওই বিতর্ক বৈঠকটি পরে কোনো এক সময় অনুষ্ঠিত হবে। এ ব্যাপারে তাইন্সিল সদস্যদেরকেও জানিয়ে দেয়া হবে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
এখনো হংকংয়ে এই বিল বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ চলছে।
বিবিসি জানিয়েছে, বুধবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় বিলটি নিয়ে বিতর্ক হওয়ার কথা ছিল। এ কারণে বিক্ষোভকারীরা মঙ্গলবার রাত থেকেই লেগকো ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছে। তাদের অনেকেই মুখোশ এবং হেলমেট পরে মাঠে নেমেছে।
এছাড়াও সরকারি ভবনগুলোর আশপাশের সড়কসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো বন্ধ করে দিয়েছে তারা।
বন্দী প্রত্যর্পণ বিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীরা কয়েকদিন ধরেই আন্দোলন করছে। বিলটি পাস হলে চীন রাজনৈতিক বিরোধীদের দমনে একে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কিন্তু টানা প্রতিবাদ আন্দোলনের মুখেও হংকং সরকার বিলটি পাস করাতে বদ্ধপরিকর। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, আগামী ২০ জুন লেগকো’তে চূড়ান্ত একটি ভোটাভুটির মাধ্যমে বন্দী প্রত্যপর্ণ বিলটি পাস হওয়ার কথা রয়েছে।
হংকং চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত হলেও ২০৪৭ সালের মধ্যে অঞ্চলটির স্বায়ত্তশাসনের নিশ্চয়তা দিয়েছে চীন প্রশাসন৷
১৯৯৭ সালে হংকংকে চীনের কাছে ফেরত দেয়া হয়েছিল৷ প্রসঙ্গত, গতবছরের এক ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রস্তাবিত এই বিলটি তৈরি করা হয়৷
তাইওয়ানে ছুটি কাটানোর সময় অন্তঃসত্ত্বা বান্ধবীকে হত্যার অভিযোগ ওঠে হংকংয়ের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে৷ কিন্তু তাইওয়ানের সঙ্গে হংকংয়ের বন্দি বিনিময়ের কোন চুক্তি না থাকায় সেই ব্যক্তিকে এখন তাইপেতে বিচারের জন্য পাঠানো যাচ্ছে না৷
প্রস্তাবিত বিলে এরকম পরিস্থিতিতে সন্দেহভাজন অপরাধীকে ফেরত পাঠানোর পথ সুগম করা হয়েছে৷ কিন্তু চীন এই আইনের সুবিধা নিয়ে হংকংয়ের বাসিন্দাদের উপর খবরদারি বাড়াতে পারে বলে সন্দেহ থাকায় বিষয়টি সেখানে এক রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে বলে দাবি সাধারণ মানুষের৷