রাজধানীতে বিকাশ কর্মীরাই বার বার দুবৃত্তদের টার্গেট হওয়ার ঘটনা পরিকল্পিত কিনা তদন্ত করছে পুলিশ ও গোয়েন্দারা। ঢাকার পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, বেশি টাকা বহনের সময় কেনো পুলিশের সহায়তা নেয়া হচ্ছে না তাও তদন্ত করা হচ্ছে।
গত এক মাসে রাজধানীর পথে দিনের বেলা গুলি করে টাকা ছিনতাই ও ডাকাতির সবগুলো ঘটনাই ঘটে বিকাশের টাকা এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নেওয়ার সময়। গুলিতে মারা যায় দুই বিকাশ কর্মী। মার্কেন্টাইল ব্যাংকের পক্ষে পুলিশকে দেয়া উপহারের অ্যাম্বুলেন্স গ্রহণ করে এ বিষয়ে কথা বলেন ঢাকার পুলিশ প্রধান।
ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, একসময় ঢাকার প্রতিটি ব্যাংকের সামনে পুলিশি পাহারা বসাতে হতো, সেই দিন আর নেই। এখন যেটা হচ্ছে, বিকাশের টাকা অলিতে গলিতে নেওয়ার সময় এক-দুইটা ঘটনা ঘটছে। আমরা ডিটেকশনের চেষ্টা করছি, কারা জড়িত সেটা জানার চেষ্টা করছি। এই টাকাগুলো যাওয়ার সময় আমরা বারবার বলার পরও পুলিশ প্রটেকশন নেওয়া হচ্ছে না। এখানে বিকাশের কর্মীরা জড়িত আছে কিনা সেটা ঢালাওভাবে বলা যাবে না। আর প্রতিটি কেস আলাদাভাবে খতিয়ে দেখা হবে।
গুলি করে ডাকাতির ঘটনায় সন্দেহভাজন বিকাশ কর্মী কারাগার থেকে বের হওয়ার পরপরই চাকরি ফিরে পায়। টাকা বহনের সময় আবারও গুলির ঘটনা ঘটে। কিভাবে সে চাকরি ফিরে পেলো জানতে চায় পুলিশ।
আছাদুজ্জামান মিয়া আরো বলেন, এভাবে বিকাশের টাকা ছিনতাই মেনে নেওয়া যাবে না, সুতরাং এটা কেন হচ্ছে এবং কারা করছে, এটা কি সংঘবদ্ধ দল নাকি কর্মচারীদের জোটবেধে হচ্ছে, এটি পূর্বপরিকল্পিত কিনা সেসব বিষয় আমরা তদন্ত করে দেখছি।
রাজধানীতে বিকাশ কর্মীদের টাকা ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনায় দায়ের হওয়া কোনো মামলায় সরাসরি জড়িত একজনকেও এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।