আসন্ন দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের প্রচারণায় দলের প্রার্থীর হয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম, তাহলে আমি কেন আওয়ামী লীগের হয়ে প্রচারণা চালাতে পারব না? এটা কি লেভেল প্লেইং ফিল্ড হলো? এটা ইসির কাছে জানতে চাই বলে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব প্রচারণা করতে পারবেন কিন্তু আমি পারবো না। ইসির আচরণ বিধি আমরা পালন করবো। আমি আচরণ বিধি মেনে চলছি। যেহেতু আচরণ বিধি হয়ে গেছে তাই মানতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় সাম্প্রদায়িকতা প্রধান অন্তরায়। আর এর পৃষ্ঠপোষক হিসেবে কাজ করছে বিএনপি। সাম্প্রদায়িকতার এই বিষবৃক্ষের মূলোৎপাটন করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সোনার বাংলা গড়ে তোলাই আমাদের মূল লক্ষ্য।’
আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের এই দিনে দেশকে সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত করাকে প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে জানিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আজকের এই দিনটি বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ দিন। এই দিনে আমরা আওয়ামী লীগকে আরও সুসংগঠিত, আদর্শিক ও শক্তিশালী দল হিসেবে গড়ে তুলবো, এটাই হলো আমাদের ব্রত। সংগঠনকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে সোনার বাংলা গড়তে ভূমিকা পালনই হবে আজকের দিনের শপথ।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে বাঙালির বিজয় ছিল অসম্পূর্ণ। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের মধ্য দিয়ে সেই বিজয় পূর্ণতা পেয়েছে। তাই এ দিনটি বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে আরও সুসংগঠিত আর আদর্শিক দল হিসেবে গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে সোনার বাংলা গড়তে ভূমিকা পালনই হবে আজকের দিনের শপথ।