প্রধানমন্ত্রীর চা চক্রের আয়োজনকে বিএনপি বিবেকহীন আনন্দের বহিঃপ্রকাশ বললেও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলছেন: বিএনপি নেতিবাচক রাজনীতির খাদের কিনারে চলে এসেছে। খাদে পড়ার আর বেশি বাকি নেই। তারা কী বললো না বললো তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না।
সোমবার ধানমিন্ডস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মাঝে মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরুর প্রাক্কালে তিনি এ কথা বলেন৷
ওবায়দুল কাদের বলেন: বিএনপি’কে নেতিবাচক রাজনীতি গভীর খাদের কিনারে চলে এসেছে। খাদে পড়ার আর বেশি বাকি নেই এ অবস্থায় বেসামাল হয়ে যা খুশি তাই বলছে। তাদের কথাই কোন যুক্তি নেই বাস্তবতা নেই। এই নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশে কোথাও কোন প্রশ্ন নেই। একমাত্র বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্ট নেতারা নির্বাচনকে বিতর্কিত করার ব্যর্থ প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। এটা ব্যর্থ বিএনপি প্রলাপ ছাড়া আর কিছুই নয়। তারা কে কী বলল এটা নিয়ে আমাদের যায় আসে যায় না।
প্রতিটি উপজেলা তৃণমূলের তিনজন প্রার্থীর নাম প্রস্তাবের কথা থাকলেও অনেক জায়গায় এমপিরা প্রভাব খাটিয়ে একক নাম পাঠাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ কী করবে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন: সেজন্য তো আমাদের মনোনয়ন বোর্ড রয়েছে। কোথাও কোনো অনিয়ম হচ্ছে কিনা সেটা আমরা খতিয়ে দেখব।
‘তৃণমূলের রিপোর্টের উপর আমরা নির্ভর করব না। আমাদের সার্ভে রিপোর্ট আছে, আমরা সেগুলো দেখব। তৃণমূলের রিপোর্ট যদি কোন প্রকার ম্যানুপুলেশন হয় তাহলে সার্ভে রিপোর্ট আমাদের কাজে লাগবে।’
তিনি বলেন: তৃণমূল থেকে যাদের নাম আসেনি যদি তারা মনে করেন তাদের সাথে অন্যায় করা হয়েছে তবে সে ক্ষেত্রে আমরা ফরম বিক্রি করব। মনোনয়ন বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে কি হবে না।
মনোনয়ন ফরম বিক্রি প্রসঙ্গে তিনি বলেন: গতকাল সিডিউল ঘোষণার পর আমরা আনুষ্ঠানিক ফরম বিতরণ শুরু করেছি যেটা চলবে ৮ তারিখ দুপুর পর্যন্ত। ৭ তারিখে শেষ সময় কিন্তু অনেকের যাতায়াতের জন্য দেরি হয়ে যায় তাই ম্যাক্সিমাম টাইম ৮ তারিখ দুপুর পর্যন্ত নির্ধারণ করেছি। কেননা ৮ তারিখ সাড়ে চারটার পর মনোনয়ন বোর্ড বসবে উপজেলা নির্বাচনের জন্য স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড এবং মহিলা সংরক্ষিত মহিলা আসনে মনোনয়নের জন্য পার্লামেন্টারি বোর্ড যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হবে।