বিকল হয়ে যাওয়া টিয়ানগং-১ চীনা মহাকাশ গবেষণাগারের ধ্বংসাবশেষ বেশিরভাগ অংশ পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়ার আগেই দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে খসে পড়েছে।
চীনা মহাকাশ সংস্থা জানিয়েছে, সোমবার ভোর ছয়টায় টিয়ানগং-১ আবারও বায়ুমণ্ডলের চারপাশে ঘুরতে থাকে এবং দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বায়ুমণ্ডলে খসে পড়ে।
টিয়ানগং-১ চীনের বিশাল আকাঙ্ক্ষিত মহাকাশ কার্যক্রমের একটি অংশ এবং এটি মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্রে মানুষ নিয়ে যাওয়ার একটি পদক্ষেপ ছিলো।
২০১১ সালে মহাকাশে ঢুকে পড়ে পাঁচ বছর পরে মিশন শেষ করে মহাকাশ গবেষণাগারটি। তারপরে গবেষণাগারটির আবার পৃথিবীতেই ফেরত আসার কথা। বেশিরভাগ মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্রই আবহাওয়ামণ্ডলে পুড়ে যায় তবে কিছু কিছু ধ্বংসাবশেষ পৃথিবীতে ফিরে আসা পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে।
ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা ইসা জানিয়েছিল, ২ এপ্রিল বেইজিং সময় ৭টা ২৫ মিনিটে পুনরায় ফিরে আসবে। তবে ফিরে আসার আগেই বেশিরভাগ অংশই দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বায়ুমণ্ডলে ভেঙে পড়ে।
চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০২২ সালের মধ্যে চীনের মানবনির্মিত স্টেশন তৈরি করার মূল উদ্দেশ্য ছিল। কিন্তু ২০১৬ সালে টিয়ানগং-১ এর সাথে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে যায় চীনের।
‘‘তারপর থেকেই তার আচরণের উপর আর কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিলো না চীনের। তাই আমরা জানতাম না কোথায় এটা শেষ হবে’’, বলছিলেন চীনা মহাকাশ গবেষকরা।
তবে ইসা জানিয়েছিল, ধ্বংসাবশেষ ৪৩ ডিগ্রি উত্তর ও ৪৩ ডিগ্রি দক্ষিণের যেকোনো জায়গায় পতিত হবে। অবশ্য এতে বিচলিত হওয়ার মতো কিছু নেই বলে আশ্বস্ত করেছিলেন মহাকাশ গবেষকরা।