বাসভবনের ছাদকে আবাদি ক্ষেতে পরিণত করার ক্ষেত্রে বিশেষ কৃতিত্ব রয়েছে রাজধানীর আদাবর এলাকার এবিএম ছিদ্দিক ও আনোয়ার শারমীন দম্পতির।
বাড়ির ছাদের বাগানই পূর্ণ করেছে তাদের কৃষির সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত থাকার স্বপ্ন। কৃষিতেই সমৃদ্ধি এই শিক্ষা তারা পেয়েছেন জীবন থেকেই। বাল্যকালের আবেগমাখা কৃষি অনুরাগ পেশাজীবনে দাঁড়িয়েছে বাস্তবমুখী আর মহৎ কাজ হিসেবে। তাই রাজধানীর জীবন যন্ত্রিকতার ভেতরও কৃষিকে তারা বেঁধে রেখেছেন জীবনের সঙ্গে।
ছাদ কৃষি উদ্যোক্তা আনোয়ারা শারমীন বলেন, ‘আমার ফলের গাছ আছে, পাতা বাহার আছে, পেয়ারার গাছ আছে। ২০০৩ সাল থেকে আমি ছয় হাজার গাছ লাগাইছি।’
সরকারের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে যুক্ত থেকে অবসর নিয়েছেন এবিএম সিদ্দিক। আনোয়ার শারমীন এখনও যুক্ত রয়েছেন এই প্রতিষ্ঠানেই।
তাদের স্বপ্নের বাসভবন আদাবর পিসি কালচার এলাকার ১৪ নম্বর বাড়ি। ১৯৯৭ সালে নির্মাণের সময়ই ভাবা হয় ছয় তালা ভবনের ছাদটি হবে পরিপূর্ণ কৃষিক্ষেত। তার কয়েক বছর পর থেকেই ৬০ রকমের ফুল, ফল আর সবজিতে ভরপুর ছাদটি প্রতিদিন এই পরিবারে পৌঁছে দেয় বিষমুক্ত খাদ্য উপকরণ আর নিশ্চিয়তা দেয় বিশুদ্ধ নিঃশ্বাসের।
আনোয়ারা শারমীন আরো বলেন, ‘যদি আপনার ছাদে গাছ থাকে যা আমি বললাম আমার সোসাইটি এখানে বারোশ বাড়ীঘর। সেই বারোশ বাড়ী ঘরে যদি ২০টি করে টব হয় ঐ গাছগুলো কতোগুলো অক্সিজেন ছাড়বে। এখনতো আমরা অক্সিজেন স্বল্পটায় ভুগছি।’
সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রের কী দায়িত্ব থাকতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে আনোয়ারা বলেন, ‘সরকার যদি নিয়ম করে দেয় যে আপনার বাড়িতে আপনি ৫০টি টব রাখবেন নিয়মানুযায়ী।’
এবিএম সিদ্দিক বলেন, বাগান করাতে একেবারে ৬ তালাতে মানুষ থাকার জন্য ভিড় পড়ে যায়। কারণ এখানে সে বাতাসটাও পায় আবার একেবারে ঠাণ্ডাও থাকে। এই ছাদ এখন হয়ে উঠছে আশপাশের অধিবাসীদের স্বপ্ন ক্ষেত্র।
এখান থেকে ছাদ বাগানের ধারণা পৌঁছে যাচ্ছে অনেক প্রতিবেশির ছাদেও।