ঈদ উপলক্ষে বাসের আগাম টিকিট বিক্রির প্রথম দিন কাউন্টারের সামনে ভিড়ের মতোই ছিল দ্বিতীয় দিন ভিড়। প্রথম দিনে যারা টিকিট না পেয়ে ফিরে গেছেন দ্বিতীয় দিনে মূলতঃ তারাই বাস কাউন্টারে এসেছিলেন একটি টিকিটের প্রত্যাশায়। কেউবা পেয়েছেন আবার কেউ টিকিট না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। তবে যাত্রীদের অভিযোগ বাড়তি ভাড়া এবং পরিচিতরাই পাচ্ছেন টিকিট।
টিকিট প্রত্যাশীদের মধ্যে অনেকেই সেহেরির পর গাবতলিতে এসেছেন। আশা একটা টিকিট নিয়ে নিজের কর্মস্থলে ফিরে যাবেন। এদের মধ্যে কেউ পেয়েছেন আবার কেউ বা হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। টিকিট না পেয়ে ফেরা একজন রকি যাবেন গাইবান্ধা, তিনি বলেন, সকাল থেকে দুই ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম, পরে কাউন্টার থেকে বললো টিকিট নেই। তাই ফিরে আসলাম।
আবার কেউ কেউ লাইনে না দাড়িয়েই টিকিট পেয়েছেন এমন একজন নিনতা। তিনি জানালেন, গতকাল বিকেলে আমার টিকিট নিয়েছি আজ দুই ফ্রেন্ড টিকিট চেয়েছে তাই তাদের টিকিট কাটার জন্য এসেছিলাম। লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন এমন প্রশ্ন করতেই বললেন, না, ছয় বছর যাবৎ ঢাকায় থাকি, প্রতিনিয়ত একই বাসে যাতায়াত করি। তো ঈদের টিকিটের জন্য আশা করতেই পারি।
টিকিট নিতে আসো এক বাস যাত্রী বলছিলেন, সাধারনত: ভাড়া ৬৫০ টাকা কিন্ত এখন নিচ্ছে ৮৫০ টাকা।
যাত্রীদের অভিযোগ করছেন বেশি ভাড়ার কিন্ত পরিবহন কর্তৃপক্ষ বলেছে, বিআরটিএ নির্ধারিত ভাড়ার বেশি তারা নিচ্ছে না।
হানিফ পরিবহনের জেনারের ম্যানেজার (উত্তরবঙ্গ) মোশারফ হোসেন বলেন, বিআরটিএ যে ভাড়া নির্ধারন করেছে তার অতিরিক্ত ভাড়া কেউ নিতে পারবে না। অর্থাৎ প্রতি কিলোমিটারে এক টাকা ৪৫ পয়সার বেশি কেউ ভাড়া নিতে পারবে না।
তবে, গ্রামে পরিবারের সাথে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে এখনো যারা বাসের টিকিট পাননি তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখার আশ্বাস দিয়েছেন পরিবহন মালিকরা। ঈদের আগে সরকারি ছুটি শুরু হচ্ছে ১৬ জুলাই থেকে। ওই দিন ছাড়া অন্যান্য দিনের কিছু কিছু টিকিট কাউন্টারে আছে বলে পরিবহণ মালিকরা জানিয়েছেন।