‘বাসায় লাকী আখান্দ নিয়মিত খাবার খাচ্ছেন, গান শুনছেন, অনেকের খবর জানতে চান, ঘুমাচ্ছেন, কেউ আসলে কথা বলছেন। তিনি এখন আগের চেয়ে অনেক ভালো আছেন।’ বললেন এরশাদুল হক টিংকু, ‘শিল্পীর পাশে ফাউন্ডেশন’ সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবী। তিনি লাকী আখান্দের পাশে আছেন, এই বরেণ্য সংগীতশিল্পীর জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছু করছেন।
টিংকু আরও বললেন, ‘হাসপাতালে যখন তাকে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন অনেকটা সময় তার কোনো চেতনা ছিল না। যখন চেতনা ফিরেছে, তখন আবার কাউকে চিনতে পারতেন না। তবে এখন তিনি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে আড়াই মাস চিকিৎসার পর গত সপ্তাহে আরমানিটোলার নিজ বাসায় ফিরেছেন সংগীতশিল্পী লাকী আখান্দ।
দু’দিন আগে লাকী আখান্দকে গান শোনাতে আসেন আশির দশকের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী লীনু বিল্লাহ। লাকী আখান্দের সুর করা দুটি গান নতুন সংগীতায়োজনে গাইছেন তিনি। এবার সংগীতায়োজন করেছেন তমাল। গান দুটি খুব মন দিয়ে শুনেছেন লাকী আখান্দ। এরপর গান দুটির ব্যাপারে নিজের কিছু পরামর্শও দিয়েছেন।
দীর্ঘদিন ধরে মরণব্যাধী ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছেন লাকী আখান্দ। গত ৫ ফেব্রুয়ারি শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের সেন্টার ফর প্যালিয়েটিভ কেয়ারে ভর্তি করা হয়। তিনি সেখানে অধ্যাপক নেজামুদ্দিন আহমেদের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
লাকী আখান্দের বর্তমান অবস্থা প্রসঙ্গে গতকাল মঙ্গলবার মুঠোফোনে অধ্যাপক নেজামুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘তিনি যে সমস্যায় ভুগছেন, এই বিষয়ে নতুন কোনো চিকিৎসা নেই। চলমান চিকিৎসা আর পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে যতক্ষণ রোগীর অবস্থা ভালো রাখা সম্ভব, আমরা সেটাই করেছি।’