অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত মৌসুমের সেরা খেলাটা বুধবার রাতে খেলেছে বার্সেলোনা। লিওনেল মেসির জোড়া গোলে শুরুতে পিছিয়ে পড়েও রোনাল্ড কোম্যানের দল জয় পেয়েছে ৩-২ ব্যবধানে।
জয়ের চেয়ে বেশি চোখে পড়েছে জোড়া গোলের পর প্রতিটিতে মেসির উদযাপন। নিজে যেভাবে খেলেছেন, চেষ্টা করেছেন, গোল পেয়েছেন, তাতে হারিয়ে যাওয়া মেসিকে যেন খুঁজে পাচ্ছেন বার্সা সমর্থকরা। চলতি মৌসুমে ধুঁকতে থাকা আর্জেন্টাইন মহাতারকা যেন এই ম্যাচ দিয়েই নিজেকে খুঁজে পেয়েছেন ফের।
ইনাকি উইলিয়ামসের গোলে নিজ মাঠে তিন মিনিটেই এগিয়ে ছিল বিলবাও। এমন এক ম্যাচে দরকার ছিল একজন সত্যিকারের নেতার। মৌসুমের নিজের সেরা ম্যাচে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড বের করে এনেছেন নিজের সেরা পারফরম্যান্সটাই।
বার্সার প্রথম গোলটা করেছেন পেদ্রি, যাতে পরোক্ষ অবদান মেসির। বার্সা অধিনায়ক পরে নিজেও করেছেন দুই গোল। তার চেয়েও বড় কথা অনেকদিন পর মাঠে হাসতে দেখা গেছে তাকে। নিজের প্রথম গোলের পর পেদ্রিকে যেভাবে জড়িয়ে ধরেছেন, তরুণ এই মিডফিল্ডার সেটা মনে রাখবেন অনেকদিন।
মেসি সুখে থাকার অবশ্য কারণও আছে কয়েকটা। প্রথমত জোড়া গোলে আবারও পিচিচি জয়ের রাস্তায় উঠেছেন, সঙ্গী হয়েছেন বন্ধু লুইস সুয়ারেজ, জেরার্ড মরেনো ও ইয়াগো আসপাসের। যারা প্রত্যেকেই এখন ৯ গোল নিয়ে আছেন লা লিগার গোলদাতাদের শীর্ষস্থানে। অ্যাথলেটিকের বিপক্ষে জয়টা বার্সাকে তুলে এনেছে পয়েন্ট টেবিলের তিনে।
এরচেয়েও বড় কথা, তরুণ পেদ্রির সঙ্গে বোঝাপড়াটা দিন দিন মনের মতো হচ্ছে ৩৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডের। একইসঙ্গে ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংও যেন অধিনায়কের ভরসার জায়গা হয়ে উঠছেন।
বিলবাও ম্যাচ দিয়ে বার্সা বুঝিয়ে দিয়েছে, এখনই তাদের হিসাবের বাইরে ফেলে দেয়া যাবে না। সামনের ম্যাচে গ্রানাডার বিপক্ষে ফর্মটা ধরে রাখতে চাইবে রোনাল্ড কোম্যানের দল।