আট বছরের কোচিং ক্যারিয়ারে এমন দুঃসময় কখনই আসেনি গার্দিওলার। এই প্রথম কোনও মৌসুমে শিরোপা জেতা হবে না মেসি-ইনিয়েস্তাদের সাবেক কোচের। আগের দুই ক্লাব বার্সেলোনা কিংবা বায়ার্ন মিউনিখে থাকলে নাকি কোচের চাকরিটাই হারাতেন। শিরোপাহীন এক মৌসুম কাটানোর পর নিজেই এ কথা বলেছেন সাবেক বার্সা-বায়ার্ন বস।
বার্সেলোনায় কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করে ২০০৮-০৯ মৌসুমে কাতালান দলটিকে জিতিয়েছেন ট্রেবল। ক্যাম্প ন্যুতে চার বছর কাটিয়ে দুই চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ মোট ১৪টি শিরোপা উপহার দিয়েছেন। ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বায়ার্নের কোচ হয়ে তিনটি বুন্দেসলিগাসহ জিতেছেন মোট ৭টি শিরোপা।
দুই ক্লাবে এমন সোনায় মোড়ানো কোচিং রেকর্ড থাকায় বড় মুখ নিয়ে গার্দিওলাকে সিটিজেনদের কোচ হিসেবে ইতিহাদে এনেছিল ক্লাব কর্তৃপক্ষ। দলকে প্রথম দশ ম্যাচ জিতিয়ে প্রত্যাশার পারদও চড়িয়েছিলেন তুঙ্গে। তারপরই ছন্দপতন। একের পর এক হারে সবগুলো শিরোপা হাতছাড়া তো হয়েছেই, এখনও নিশ্চিত নয় চ্যাম্পিয়নস লিগে সরাসরি খেলা হবে কিনা গার্দিওলার দলের।
‘বড় দলগুলোতে এই অবস্থায় থাকলে এতক্ষণে আমার চাকরিটাই নাই হয়ে যেত, বের করে দেয়া হত। বার্সেলোনা কিংবা বায়ার্নের মত দলগুলোকে জেতাতে না পারলে আপনার সেখানে কোন প্রয়োজনই হবে না।’ বলছেন গার্দিওলা।
গার্দিওলাকে এই মৌসুমেই বরখাস্ত করার উদ্যোগ আপাতত নেয়নি ম্যানসিটি কর্তৃপক্ষ। তাই পরের মৌসুমে ভালো কিছু করে দেখানোর তাড়না এখনই অনুভব করছেন সিটিজেনদের স্প্যানিশ কোচ, ‘আরেকটা সুযোগ পাচ্ছি। পরের মৌসুমটাতে আমি আমার সর্বোচ্চটাই দেয়ার চেষ্টা করবো।’
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই শিরোপা জিতেছে চেলসি। দ্বিতীয়স্থানে থাকা টটেনহ্যামেরও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা প্রায় নিশ্চিত। তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানের জন্য চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। ম্যানসিটি, লিভারপুল, আর্সেনাল কিংবা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এই চারটি দলের মধ্যে যেকোনো দুটি দল পাবে ইউরোপ সেরার লড়াইয়ের টিকিট। ৩৬ ম্যাচে ৭২ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত চতুর্থ স্থানে আছে ম্যানসিটি। চ্যাম্পিয়নস লিগে সরাসরি খেলতে হলে অন্তত চারে থেকে লিগ শেষ করতে হবে গার্দিওলার দলকে।