চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল এগিয়ে আছে পাঁচ পয়েন্টে। পা হড়কালেই একরকম ধূসর হয়ে যাবে শিরোপা স্বপ্ন। এমন সমীকরণ মাথায় নিয়ে গ্রেনাডার বিপক্ষে নেমেছিল বার্সেলোনা। পাঁচ হলুদ কার্ডের জেরে ছিলেন না লিওনেল মেসি। কিন্তু নেইমার-সুয়ারেজ তো ছিলেন। গ্রেনাডাকে তাই ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিতে কোন সমস্যাই হলো না লুইস এনরিকের দলের।
গ্রেনাডার মাঠ স্টাডিও লস কারমেনেসে রোববার রাতে প্রাণভোমরা মেসিকে ছাড়া নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বার্সা। চোট নিয়ে খোঁড়াতে খোঁড়াতে মাঠ ছাড়েন রাফিনহা। এনরিকে তার বদলি হিসেবে নামান পাকো আলকাসেরকে। পরের আধাঘণ্টায় একাধিক আক্রমণ শাণিয়েও প্রতিপক্ষের জাল খুঁজে পাচ্ছিল না কাতালানরা।
ম্যচের ৩৪ মিনিটে লুইস সুয়ারেজের শট প্রতিপক্ষের মেক্সিকান গোলরক্ষক গিলের্মো ওচোয়ার পায়ে লেগে ফিরে আসে। অবশেষে বিরতির এক মিনিট আগে আসে হাসির সুযোগ। এসময় বার্সাকে এগিয়ে দেন উরুগুইয়ান ফরোয়ার্ডই। জর্ডি আলবার ক্রসে আলতো টোকায় গোলরক্ষক ওচোয়ার মাথার ওপর দিয়ে জালে বল পাঠান সুয়ারেজ।
চলতি লিগে এটি সুয়ারেজের ২৩তম গোল। দুই গোল বেশি নিয়ে তার ঠিক ওপরেই আছেন সতীর্থ মেসি।
মধ্যবিরতি থেকে ফিরে সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে গ্রেনাডা। ৫০ মিনিটের মাথায় সাফল্যও পায়। মিডফিন্ডার জেরেমি বোগার গোলে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেছে দলটি।
কিন্তু গোল খেয়ে হুশ ফেরে বার্সারও। এসময় প্রতিপক্ষকে চেপে ধরেন নেইমার-সুয়ারেজরা। ম্যাচের ৬৪ মিনিটে সুয়ারেজের উঁচু করে বাড়ানো বলে গোল বানিয়ে ছাড়েন রাফিনহার বদলি আলকাসের।
গ্রেনাডা আসল বিপদে পড়ে ৮২ মিনিটে ডিফেন্ডার উচে আগবো লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে। পরের মিনিটে নিজদের জালে বল জড়িয়ে বিপদের ষোলকলা পূর্ণ করেন ম্যাথিউ সাউনিয়ের।
আর ম্যাচের যোগ করা সময়ে স্বাগতিকদের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকেছেন মেসির অনুপস্থিতে আরেকবার জ্বলে ওঠা ব্রাজিলিয়ান ওয়ান্ডারবয় নেইমার।
এই জয়ে ২৯ ম্যাচে ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে রিয়ালের পরেই থাকল বার্সেলোনা। রাতের আগের ম্যাচে আলাভেসকে হারিয়ে ২৮ ম্যাচে ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে লস ব্লাঙ্কোসরা।