অর্থ-সম্পত্তির ওপর বাবার খবরদারি থেকে মুক্তি পেতে জনপ্রিয় তারকা ব্রিটনি স্পিয়ার্স আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কিছুদিন আগে। বাবাকে তত্ত্বাবধায়ক পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু আদালত ব্রিটনির দায়ের করা এই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।
২০০৭ সালে স্বামী কেভিন ফেডারলাইনের সঙ্গে বিয়ে বিচ্ছেদের পর মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন ব্রিটনি। সেসময় মেয়ের ব্যক্তিগত জীবন ও অর্থ-সম্পত্তি দেখাশোনার জন্য আইনি তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে নিযুক্ত হন বাবা জেমি স্পিয়ার্স। প্রায় ১২ বছর ধরে তিনি ব্রিটনি ও তার সম্পত্তির নিয়ন্ত্রণে নিযুক্ত।
লসঅ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়ার আদালতে করা অভিযোগে ব্রিটনি বলেছিলেন, তাকে মানসিক রোগী সাজিয়ে অর্থ-সম্পদ কুক্ষিগত করার ষড়যন্ত্র করেছেন বাবা জেমি। তাই জেমি স্পিয়ার্সের বদলে বিসেমার ট্রাস্ট কোম্পানিকে তার দেখভালের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য আদালতে অনুরোধ করেছিলেন গ্রামিজয়ী গায়িকা।
শুনানিতে ব্রিটনির পক্ষের আইনজীবী স্যামুয়েল ইংহাম বলেন, ‘বাবার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই স্পিয়ার্সের। তারা বহুদিন করে কথা বলেন না একে অপরের সঙ্গে।’
অন্য দিকে জেমি স্পিয়ার্সের আইনজীবী ভিভিয়ান থরেন বলেন, ‘ব্রিটনি তার বাবার সঙ্গে কথা বলেন না কারণ স্যামুয়েল ইংহাম তাকে পরামর্শ দিয়েছেন কথা না বলার জন্য।
জনপ্রিয় এই তারকার এই পদক্ষেপে সমর্থনে শুরু চলছে ‘হ্যাশট্যাগ ফ্রি ব্রিটনি’ আন্দোলন। ব্রিটনির ব্যক্তিগত জীবন ও অর্থ-সম্পদে নিজের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ভক্ত ও অনুরাগীরা এই আন্দোলনে অংশ নিচ্ছে। এমনকি ব্রিটনির পক্ষে লাখো মানুষের স্বাক্ষরও যোগাড় করেন। তাদের একটাই দাবি, প্রিয় তারকাকে যে কোনো মূল্যে চাপ মুক্ত রাখা।