বান্দরবান মধ্যম পাড়া ৪ নম্বর ওয়ার্ডে জাহাঙ্গীরের বিল্ডিং-এ এক কাজের মেয়েকে শারীরিক নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ২৬ জুন শুক্রবার বিকাল ৩ টার দিকে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।
নিহত কাজের মেয়ে রিম্পি পাল (২২) বাঁশখালী কালিপুর গ্রামের ৭ নং ওয়ার্ড পালপাড়ার শংকর পাল (৫০) ও বেবি পাল (৪০) এর মেয়ে। নিহতের পরিবার বর্তমানে বান্দরবান জেলা কারাগারের পিছন পাড়াতে এক বাসায় ভাড়া থাকে।
মেয়েটি দীর্ঘ আট মাস ধরে বান্দরবান জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে কর্মরত দীপা প্রভা বাসায় কর্মরত ছিল।
নিহতের মা বেবি পাল জানান, আমার মেয়ে সম্পূর্ণ নির্দোষ। গরিব বলে আমরা মেয়েকে তাদের বাসায় কাজ করতে দিয়েছিলাম। তারা প্রায় সময় আমার মেয়েকে নির্যাতন করতো, আমরা গরিব বলে তার প্রতিবাদ করতে পারতাম না দু’মুঠো ভাতের জন্য। আমরা যদি দেখা করতে চাইতাম লকডাউন এর দোহাই দিয়ে তারা আমাদেরকে কারো সাথে যোগাযোগ করতে দিত না। তাকে দেখে তখন আমাদের সবার কষ্ট লাগতো।
কিন্তু শুক্রবার দুপুর ৪ টার দিকে দীপা প্রভা নিহত রিম্পি পালের মা বাবাকে ফোন করে জানান আপনাদের মেয়ে শ্বাসকষ্টে নিশ্বাস নিতে পারছে না। ওর শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ। আপনারা দ্রুত বাসায় আসেন।
তারা ওই বাসায় গিয়ে দেখে সে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে আছে, তার কান দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে এবং মাথায় আঘাতের দাগ আছে। অবস্থা খারাপ দেখে রিম্পিকে দ্রুত বান্দরবান হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই বিষয়ে দীপা প্রভার স্বামী আশিষ শর্মা জানান, মেয়েটি শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিল। হঠাৎ করে বমি করতে করতে অসুস্থ হয়ে গেছে। সে গলায় ভাত আটকে গিয়ে শ্বাস বন্ধ হয়ে মারা গেছে। আমরা তার শারীরিক অবস্থা খারাপ দেখে তার পরিবারকে খবরটা পাঠিয়েছি।
বান্দরবান সদর থানার অতিরিক্ত সহকারী পুলিশ সুপার সদর সার্কেল রেজা সারোয়ার জানান, আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। হাসপাতাল থেকে পোস্টমর্টেম এর পর বিস্তারিত আরও রিপোর্ট আমরা পাব। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে ঘটনার সত্যতা উদঘাটন করার।